বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনে গরু আনতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে মো. ফজলু গাজী নামের এক বৃদ্ধ আহত হয়েছেন। তাকে শুক্রবার সকালে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে বাঘের আক্রমণের শিকার হন ফজলু। তার ডান পায়ে ক্ষতস্থানে অস্ত্রোপচার করতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
৬২ বছর বয়সী আহত ফজলুরের বাড়ি শরণখোলার উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন উত্তর রাজাপুর গ্রামে।
ফজলুর স্ত্রী ফিরোজা বেগম জানান, ঘটনার দিন সকালে তাদের একটি গরু ছাড়া পেয়ে সুন্দরবনে ঢুকে পড়ে। বেলা ১১টার দিকে ওই গরু আনতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে আহত হন তার স্বামী।
আহত ফজলু বলেন, বনের কিছুটা ভেতরে গিয়ে গরু আনার সময় কিছু দৌড়ে আসার শব্দ পাই। এরপরই বাঘ দেখে জোরে চিৎকার করে উঠি। সেখানে একটি খালে দুই নৌকায় ১০-১২ জন মাছ ধরছিল। তারা আমাকে বাঘের মুখ থেকে উদ্ধার করে। পরে স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক দিয়ে বাড়িতে চিকিৎসা করানোর পর বৃহস্পতিবার এক ডাক্তার আমাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন।
বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, বাঘের কামড়ে আহত ফজলু আমার চেম্বার এসেছিলেন। তার ডান পায়ের ক্ষত অনেক বেশি। সেখানে গভীর গর্ত হয়ে গেছে। পরিবারটি অনেক দরিদ্র। এ চিকিৎসার ব্যয় মেটানোও তাদের জন্য কঠিন। আমরা তাকে ভর্তি করে হাসপাতাল থেকে সব ধরনের সেবা দিচ্ছি। শনিবার তার পায়ের ক্ষতস্থানে অস্ত্রোপচার করা হবে।
এদিকে ফজলুর ওপর বাঘের আক্রমণের বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নয় বনবিভাগ। জানতে চাইলে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, অবৈধভাবে বনে প্রবেশ করায় তাদের কিছু জানায়নি ফজলুর পরিবার।