কৌশলে অনলাইনে পণ্য অর্ডারকারী নারীদের ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করে যৌন সম্পর্ক গড়তে চাপ দেয়াসহ নানা বিষয় নিয়ে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রেজোয়ান আহমেদ এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার ২২ বছর বয়সী মো. মিজানুর রহমান ওরফে আল-আমিন জামালপুরের চরগাঁওকোড়া গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি একটি সুপরিচিত অনলাইন শপের ডেলিভারিম্যান হিসেবে কাজ করছেন।
অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রেজোয়ান আহমেদ জানান, ওই যুবকের বিরুদ্ধে অনলাইনে অর্ডার করা পণ্যের ডেলিভারি দেয়ার সময় কৌশলে ফোন নিয়ে ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও সংগ্রহ করে প্রতারণা, যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে চাপ ও টাকা দাবি করার অভিযোগ আনেন এক নারী ও তার পরিবারের সদস্যরা।
তিনি জানান, এ অভিযোগের পরই শুক্রবার রাতে সদর থানার রথখোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিজানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, অনলাইন শপের পণ্য ভেলিভারি দেয়ার সময় কৌশলে তাদের মোবাইলটি হাতে নিতেন মিজান। তারপর মোবাইলের গুগল ফটোতে ঢুকে শেয়ারিং অপশনে গিয়ে শেয়ার উইথ পার্টনার হিসেবে তিনি তার ব্যক্তিগত জিমেইল অ্যাকাউন্ট অ্যাড করে মোবাইলটি ক্রেতাকে ফেরত দিয়ে দিতেন।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে মোবাইলের গুগল ফটোতে ঢুকে শেয়ার করা নারী ক্রেতার গুগলে থাকা সব ছবি তার মোবাইলে ডাউনলোড করে নিয়ে নিতেন তিনি। এরপর আপত্তিকর ও গোপন মুহূর্তের ছবি নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করাসহ টাকা দাবি এবং টাকা না দিলে তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন এই যুবক।
অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রেজোয়ান আহমেদ জানান, গ্রেপ্তার আসামি মিজানের মোবাইল ফোনে ভুক্তভোগী এমন অনেক নারীর ব্যক্তিগত মুহূর্ত ও আপত্তিকর ছবিবসহ বিভিন্ন ব্যক্তির ১১টি ইমেইল আইডি লগইন অবস্থায় পাওয়া গেছে।
তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্নোাগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া এই যুবক জামালপুরের একটি হত্যা মামলার আসামিও।