বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ককটেল-দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, আটক বিএনপির ১০ নেতা-কর্মী

  • প্রতিনিধি, মেহেরপুর   
  • ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১২:১২

পুলিশের দাবি, নাশকতার উদ্দেশে পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে বৈঠক চলাকালীন সময়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। তবে জেলা বিএনপির নেতা কর্মীরা বলছেন, বোমা ও অস্ত্র উদ্ধারের অসত‍্য তথ‍্য প্রচার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির আন্দোলন বন্ধ করার চেষ্টা করছে সরকার।

মেহেরপুরের গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলা থেকে ৯টি ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ ১০ বিএনপি নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশের দাবি, নাশকতার উদ্দেশে পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে বৈঠক চলাকালীন সময়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। তবে জেলা বিএনপির নেতা কর্মীরা বলছেন, বোমা ও অস্ত্র উদ্ধারের অসত‍্য তথ‍্য প্রচার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির আন্দোলন বন্ধ করার চেষ্টা করছে সরকার।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে জেলার গাংনী উপজেলার বামন্দী দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৫টি ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ছয় বিএনপি নেতা-কর্মী এবং মুজিব নগর উপজেলায় ৪টি ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় চার বিএনপি নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

আটকরা হলেন গাংনী উপজেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল শাওন, বিএনপি নেতা ও ইটভাটা ব‍্যবসায়ী মহিবুল হক পলাশ, বামন্দী ইউনিয়নের নিশিপুর গ্রামের ইউপি সদস‍্য শাহ আলম, বিএনপি কর্মী আশরাফুল ইসলাম, আবদাল হক, মনিরুজ্জামান।

মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি বিদ্যাধরপুর গ্রামের আব্দুল খালেক, বাগোয়ান ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জয়পুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, মোনাখালী ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি শিবপুর গ্রামের শহিদুল হাসান রাহুল এবং মোনাখালী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি আজিম উদ্দিন গাজী।

গাংনী থানা পুলিশ জানায়, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী দাখিল মাদ্রাসার একটি কক্ষে নাশকতার উদ্দেশ্যে বিএনপি নেতা-কর্মীরা গোপন বৈঠক করছিলেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তারা পালিয়ে যায়।

পরে মাদ্রাসার ওই কক্ষ থেকে ৫টি ও দুটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক ইউপি সদস‍্যসহ বিএনপির ছয় নেতা-কর্মীকে রাতেই আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, যেকোনো মূল্যে এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা হবে। নাশকতা করে কেউ পার পাবেনা। এলাকার মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ সতর্ক রয়েছে।

গ্রেপ্তার ছয়জনকে নাশকতার মামলার আসামি হিসেবে শনিবার মেহেরপুর আদালতে নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।

মুজিবনগর থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করার সময়ে উপজেলা যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪ নেতা কর্মীকে আটক করা হয়েছে।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ককটেল বিষ্ফোরণের আলামত এবং অবিষ্ফোরিত চারটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।

মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি রাসেল জানান, নাশকতার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে গ্রেপ্তার চারজনের নামে মামলা করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়া অজ্ঞাতনামা আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বামন্দী ব‍্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘ককটেল ও দেশী অস্ত্র উদ্ধারের মিথ‍্যা তথ‍্য প্রচার করছে পুলিশ। মামলা, ভয়-ভীতি দেখিয়ে আমাদের আন্দোলন বন্ধের চেষ্টা করছে সরকার। তবে বিএনপির এ আন্দোলন বন্ধ হবার নয়। এ আন্দোলন চলমান থাকবে।’

এ বিভাগের আরো খবর