বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তৃণমূল চাঙার মিশনে দুই দল

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১১:১৬

সরকার পতনের ধারাবাহিক আন্দোলনে থাকা বিএনপি ইউনিয়ন পর্যায়ে শনিবার পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করেছে। একই দিনে সাবেক ক্ষমতাসীন দলটির ‘নৈরাজ্য ও সহিংসতার’ প্রতিবাদে দেশের সব জেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে শান্তি সমাবেশ করছে সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ।

নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজধানী ও বিভাগীয় শহরগুলোতে কর্মসূচির পাশাপাশি তৃণমূলকে চাঙা করতে মাঠে নেমেছে দেশে ক্ষমতার রাজনীতির প্রধান দুই শরিক আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।

সরকার পতনের ধারাবাহিক আন্দোলনে থাকা বিএনপি ইউনিয়ন পর্যায়ে শনিবার পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করেছে। একই দিনে সাবেক ক্ষমতাসীন দলটির ‘নৈরাজ্য ও সহিংসতার’ প্রতিবাদে দেশের সব জেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে শান্তি সমাবেশ করছে সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ।

পদযাত্রা শুরুর আগের দিন শুক্রবার বিএনপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান গণ-আন্দোলনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শনিবার দেশব্যাপী ইউনিয়নে পদযাত্রা হবে। এ ছাড়া রোববার ঢাকা মহানগর উত্তরে পদযাত্রা হবে।

দলটির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিদ্যুৎ, গ্যাস, চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবা ও পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে পদযাত্রা হবে। এতে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয়, মহানগর, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, গ্রাম, পাড়া-মহল্লা ইউনিটের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীসহ সব শ্রেণি-পেশার জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে শুক্রবার দেয়া পোস্টে বলা হয়, ‘বিএনপির নৈরাজ্য ও সহিংসতার প্রতিবাদে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সারা দেশে প্রতিটি জেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে একযোগে শান্তি সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জেলার নেতাদের সঙ্গে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এ শান্তি সমাবেশ সফল করতে ৪০টি জেলার কেন্দ্রীয় নেতাদের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে।’

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কর্মসূচি সফল করতে জেলায় জেলায় কেন্দ্রীয় নেতাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। জয়পুরহাটে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, লালমনিরহাটে সফুরা বেগম রুমি, রংপুরে এইচ এন আশিকুর রহমান, সুজিত রায় নন্দী ও হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, বগুড়ায় ডা. রোকেয়া সুলতানা, নওগাঁয় সাখাওয়াত হোসেন শফিক, রাজশাহীতে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও বেগম আখতার জাহান, সিরাজগঞ্জে অধ্যাপক মেরিনা জাহান, পাবনায় নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, মাগুরায় নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, নড়াইলে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, বাগেরহাটে আমিরুল ইসলাম মিলন, খুলনায় এস এম কামাল হোসেন ও গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, বরগুনায় সিদ্দিকুর রহমান ও পটুয়াখালীতে অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এর বাইরে বিভিন্ন জেলায় কর্মসূচিতে থাকবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

সংবিধান অনুযায়ী ২০২৩ সালের শেষে কিংবা ২০২৪ সালের শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে নেতা-কর্মীদের সক্রিয় করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে দুই দল।

এ বিভাগের আরো খবর