নেত্রকোণায় এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কাঙ্খিত ফল না পাওয়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে ধারণা পুলিশের।
জেলা সদরের নাগড়া সাহাপাড়া ও কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি গ্রামে গত দুদিনে (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) এ দুটি ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, জেলা সদরের নাগড়া সাহাপাড়া এলাকার শ্যামল দাসের ছেলে বিপুল দাশ ও কলমাকান্দার রংছাতি গ্রামের মোবারক হোসেনের মেয়ে পরশিয়া আক্তার।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ও নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ নিউজবাংলাকে ঘটনা দুটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিপুল দাশের স্বজনরা জানান, বিপুল সদর উপজেলার আবু আব্বাছ ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী হিসেবে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। বুধবার প্রকাশিত ফলাফলে তিনি এক বিষয়ে ফেল করেন। এরপর থেকে কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন না। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার ব্যবসায়ী বাবা দোকানে এবং মা প্রতিবেশীর বাসায় গেলে ঘরের আড়ায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। পরে পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
পরশিয়ার স্বজনরা জানান, কলমাকান্দা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী পরশিয়ার আশা ছিল জিপিএ-৫ পাওয়ার। কিন্তু বুধবার ফল প্রকাশিত হলে জানতে পারেন জিপিএ ৩ দশমিক ৪২ পেয়েছেন। এরপর থেকে তিনি কান্নাকাটি করছিলেন। বুধবার বিকেলে বাড়ির লোকেরা বাইরে গেলে কীটনাশক খেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
কলমাকান্দা থানার ওসি আবুল কালাম ও নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের দুজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।