খুলনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহামুদা খাতুন বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আসামি ওমর ফারুখ খানজাহান আলী থানা এলাকার পাড়িয়ারডাঙ্গা বাসিন্দা। ২২ বছর বয়সী নুপুর বেগম ওই একই এলাকায় থাকতেন।
মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কে এম ইকবাল রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডের তিন বছর আগে ২০১৫ সালের দিকে ওমর ফারুখের সঙ্গে নুপুরের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। ওই ঘটনার তিন মাস আগে তাদের মধ্যে কলহ শুরু হয়। প্রায়ই স্বামী তার স্ত্রীকে মারধর করত। বিষয়টি জানতে পেরে নুপুরের বাবা জামাইকে কিছু টাকা দেয়ার আশ্বাস দেন। পরে মেয়েকে বুঝিয়ে শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
২০১৮ সালের ১৭ জুলাই ভোর রাতে লোকমারফত খলিলুর রহমান জানতে পারেন তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। বাড়ির পাশের বাগানে মেয়ের মরদেহ পড়ে রয়েছে। সেখানে গিয়ে মেয়ের হাত ও মুখ বাঁধা মরদেহ দেখে তার সন্দেহ হয়। এ ঘটনায় মেয়ের স্বামী ওমর ফারুখকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ আসামি ফারুখকে গ্রেপ্তার করে। তখন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে।
ফারুখকে আসামি করে ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খানজাহান আলী থানার এসআই সুমঙ্গল কুমার দাশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন ১৪ জনের মধ্যে ১০ জন স্বাক্ষ্য দেন।