বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নেশাগ্রস্ত করে জাবিতে এনে টাকা আদায়

  • প্রতিনিধি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়    
  • ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৪:৩২

হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সুকল্যাণ কুন্ডু বলেন, ‘বুধবার রাতে ভুক্তভোগী নিরাপত্তা অফিসে থাকবে। বৃহস্পতিবার এর বিস্তারিত তদন্ত করা হবে। ভুক্তভোগী চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ছাড়াও রাষ্ট্রীয় আইনের ব্যবস্থা নিতে পারে।’

রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে নেশাগ্রস্ত করে এক যুবককে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হলে এনে জিম্মি করে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম-বরকত হলে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ৩২ বছর বয়সী ওয়ালি উল্ল্যাহ। তিনি লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও এলাকার বাসিন্দা।

শেখ ওয়ালি উল্ল্যাহ বলেন, ‘আমি মূলত বিকেলে বাসে করে বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা দিই। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে এসেছি এর কোনো কিছু মনে করতে পারছি না। আমাকে একটি রুমে বন্দি করে বেধড়ক মারধর করা হয়। ওই রুমে ৪ জন ছিল। শুরুতে তারা আমাকে ১০ লাখ টাকা দিতে বলে। টাকা দিতে না পারায় তারা আমাকে চাকু, লোহার পাইপ দিয়ে মারধর করে। পরে আমার নগদ ৪০ হাজার টাকা ও বাড়ি থেকে ৫ হাজার টাকা বিকাশে আদায় করে তারা।’

ভুক্তভোগীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী রাত ১টায় হল প্রশাসন অভিযান চালালে ২১৪ নম্বর কক্ষে প্রাথমিক তদন্ত শেষে একটি লোহার পাইপ, কয়েকটি চাকু, ইনজেকশন ও মাদকদ্রব্য গ্রহণের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

বিকাশে টাকা আদায়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অসিত পালের যোগসূত্রের প্রাথমিক সত্যতা মেলেছে বলে জানায় হল প্রশাসন। এ ছাড়াও অসিত পাল ২১৪ নম্বর কক্ষের থাকেন ।

এ বিষয়ে জানতে মোবাইলে অসিত পালের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি।

শিক্ষার্থী কনোজ কান্তি রায় জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের জাহানারা ইমাম হল সংলগ্ন এলাকা থেকে ভুক্তভোগীকে অবচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মরত সাংবাদিক ও শহীদ সালাম বরকত হল প্রভোস্টের উপস্থিতিতে ঘটনাটির প্রাথমিক তদন্তের কাজ সম্পন্ন করা হয়। এতে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানান হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সুকল্যাণ কুন্ডু।

হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সুকল্যাণ কুন্ডু বলেন, ‘ভুক্তভোগীর যাওয়ার কথা লক্ষীপুর। তাকে ঘটনাক্রমে অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। আমরা ভুক্তভোগীর কাছ থেকে জেনেছি তার কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা নিয়েছে অপরাধীরা। যদিও ঘটনাটির সঙ্গে একজন শিক্ষার্থীর প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তবুও ওই শিক্ষার্থীর বক্তব্য না পাওয়ায় এবং বাকি তিনজন চিহ্নিত না হওয়ায় আমরা পুরোপুরি তদন্ত না করে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত বলতে পারছি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বুধবার রাতে ভুক্তভোগী নিরাপত্তা অফিসে থাকবে। বৃহস্পতিবার এর বিস্তারিত তদন্ত করা হবে। ভুক্তভোগী চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ছাড়াও রাষ্ট্রীয় আইনের ব্যবস্থা নিতে পারে।’

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলমের সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

এ বিভাগের আরো খবর