নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চর জুবলী ইউনিয়নের চর বাগ্যা গ্রামে মো. জসিম উদ্দিন জামে মসজিদের নাম নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। এরই জেরে মঙ্গলবার গভীর রাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা মসজিদটির নাম ফলক ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও চর জব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে বৃহস্পতিবার সকালে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও মুসল্লিদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালে মধ্যবাগ্যা গ্রামে টিনের ঘরে মসজিদটি স্থাপিত হয়। ২০১৫ সালে মুসল্লিরা সম্মতিতে বর্তমান সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের নামে জামে মসজিদটির নামকরণ করেন। এ নিয়ে সাবেক সভাপতি শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। প্রতিপক্ষ ক্ষুদ্ধ হয়ে মঙ্গলবার রাতের আঁধারে নাম ফলকটি ভাঙচুর করে।
ওই মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ‘মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি সাহাবুদ্দিনের বিভিন্ন অনিয়মের কারণে তাকে এলাকার মুসল্লিরা কমিটি থেকে বাদ দেয়। এতে সাহাবুদ্দিন এলাকার কিছু মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মসজিদের উন্নয়ন কাজ বাধা দেন। বিভিন্ন সময় অযাচিত মন্তব্য করে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। এর প্রেক্ষিতে রাতের আঁধারে হামলা করে মসজিদের নাম ফলক ভাঙচুর করা হয়।'
জামে মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ আব্বাছ আলী বলেন, ‘২০০২ সাল থেকে এই মসজিদ জসিম উদ্দিন জামে মসজিদ নামে পরিচিত। মসজিদের লিফলেট-হ্যান্ডবিল ও বিভিন্ন সময় এই মসজিদের মাহফিলে এই নামেই পরিচিত হয়েছে। এলাকবাসী কারো কোনো দ্বিমত নাই। এ নামটা টাইলসে দেয়া হয়েছে। গতরাতে এ টাইলসটা কে বা কারা ভেঙে ফেলেছে। আমাদের জোর দাবি এ ন্যাক্কারজনক কাজ যারা করেছে তাদের যেন আইনের আওতায় আনা হয়।’
মসজিদ কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিন রায়হান মেম্বার বলেন, ‘অনিয়ম করে সাবেক সভাপতি শাহাবুদ্দিন মসজিদের জায়গা ও দোকান দখল করেছে। বিভিন্ন সময় মসজিদের নির্মাণ কাজ বাধাগ্রস্ত ও মুসল্লিদের বিভ্রান্ত করেছে।
তিনি মসজিদের নাম ফলক ভাংচুরকারীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি করেন।
চর জুবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির খসরু মাহমুদ বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। আগামী শুক্রবার জুমার নামাজে মুসল্লিদের মতামত নিয়ে বিষয়টি সমাধান করব।’
চর জব্বর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে বিষয়টি সমাধানের জন্য বলা হয়েছে।’
সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৈতী সর্ববিদ্যা বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’