‘ইউরোপে কোনোভাবে পা রাখতে পারলেই হলো। কিছুদিন চেষ্টা করলেই থাকা ও কাজের অনুমতিপত্র মিলে যাবে। কাগজ পেয়ে গেলে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।’
উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতা মানবপাচার চক্রের এসব কথার ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব হারাচ্ছেন অনেকেই। যাত্রাপথে শিকার হতে হচ্ছে অমানুষিক নির্যাতনের। দিতে হচ্ছে মুক্তিপণ। সবশেষ জেলও খাটতে হচ্ছে।
লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার প্রবণতা থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নতুন একটি পথ বেছে নিচ্ছে মানব পাচারকারীরা।
বাংলাদেশ থেকে দুবাই, ইরান হয়ে তুরস্ক যাচ্ছে শত শত মানুষ। আর যাওয়ার পথে নির্মম নির্যাতনের শিকার হওয়ার পাশাপাশি সঙ্গে থাকা সর্বস্ব হারাচ্ছেন বিদেশগামীরা। নির্যাতনের মুখে মুক্তিপণ হিসেবে দেশ থেকে স্বজনদের পাঠাতে হচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
গড়ে ৮-১০ লাখ টাকা খুইয়ে তুরস্কে পৌঁছার পর কেউ কেউ অবৈধ পথে প্রবেশ করছেন ইউরোপের অন্যান্য দেশে। আবার অনেকে ইউরোপীয় দেশগুলোর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে জেল খেটে শূন্য হাতে ফিরছেন বাংলাদেশে।
মানব পাচারকারী চক্রে ফাঁদে পড়া অসংখ্য তরুণ-যুবকের একজন হারিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা নাঈম (ছদ্মনাম)। দেশ ত্যাগের প্রায় এক বছরে সবকিছু হারিয়ে তুরস্ক থেকে শূন্য হাতে দেশে ফিরেছেন তিনি। ২০২২ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় দেশে ফেরা সম্ভব হয়েছে তার।
গত এক বছরে নাঈমের মতো আড়াই হাজার অবৈধ অভিবাসী বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে ফেরত এসেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। দেশের বিমানবন্দরগুলোতে সিআইডির বিশেষায়িত একটি টিমের সংগ্রহ করা তথ্যে এ চিত্র উঠে এসেছে। এক থেকে ৫-৭ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে থাকার পর তাদের দেশে ফেরার তথ্য পেয়েছে সিআইডি।
বাংলাদেশ-দুবাই-ইরান হয়ে তুরস্কে যাওয়ার পথে শতাধিক অভিবাসন প্রত্যাশীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে নাঈমের। সেসব ঘটনা ও নিজের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তিনি জানিয়েছেন নিউজবাংলাকে। তার বক্তব্যে উঠে এসেছে অবৈধ উপায়ে ইউরোপ যাত্রায় ব্যবহৃত দুবাই-ইরান-তুরস্ক রুটের ঝুঁকির চিত্র।
ইউরোপে মানবপাচারের নতুন রুট
অভিবাসন বিশ্লেষকদের তথ্যমতে, বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার জন্য ১৮টি রুট ব্যবহার করছে মানব পাচারকারীরা। তারা ভুক্তভোগী নাঈমকে তুরস্কে পাঠিয়েছিল দুবাই-ইরান রুট ব্যবহার করে।
স্বপ্নের ইউরোপ যাত্রা কীভাবে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল তার বর্ণনা দিয়েছেন নাঈম। তিনি জানান, ২০২১ সালের মার্চ মাসে আলী হোসেন নামে এক ইউরোপ প্রবাসীর সন্ধান পান তিনি। তার সঙ্গে যোগাযোগ ও আলাপচারিতা শেষে সাড়ে ৬ লাখ টাকায় ইউরোপে পাড়ি জমানোর প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান নাঈম।
এরপর শুরু হয় মানব পাচারকারী চক্রের তৎপরতা। আব্দুল হান্নান নামে একজনের সঙ্গে নাঈমকে পরিচয় করিয়ে দেন আলী হোসেন। এই হান্নানের সঙ্গে নাঈমের যোগাযোগ হয় হোয়াটসঅ্যাপে। আলী নাঈমকে জানান, ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল তার ফ্লাইটের তারিখ। এরপর নাঈমকে রাজধানীর উত্তরায় হাজী ক্যাম্প এলাকায় সালাম নামে এক ব্যক্তি পাসপোর্ট, টিকিট বুঝিয়ে দেন।
নাঈম বলেন, ‘আমিসহ চারজন ছিলাম। আমাদের গ্রুপ ভিসায় দুবাই পাঠানো হয়। দুবাইয়ের শারজায় যাওয়ার পর আব্দুল হান্নানের সঙ্গে দেখা হয়। তিনি আমাদের রিসিভ করে একটি গাড়িতে করে রেস্টুরেন্টে নিয়ে রাতের খাবার খাওয়ান।
‘এই ফাঁকে তিনি কৌশলে আমার কাছে থাকা ৬শ’ ডলার ও পাসপোর্ট নিয়ে নেন। ডলার নেয়ার পর তিনি আরও টাকা চান। আলীর সঙ্গে কথা বলার পর আমার ভাই দেশের একটা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১ লাখ ৭ হাজার ২শ’ টাকা পাঠায়। ওখানে ৬-৭ দিন থাকার পর হান্নান কয়েকজনকে নিয়ে এসে আমাদেরকে গাড়িতে করে অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে যান।’
ট্রলার-স্পিডবোটে পারস্য উপসাগর পাড়ি
গাড়িতে করে নেয়ার পর হান্নান চার বিদেশি নাগরিকের সঙ্গে কথা বলেন। পরে নাঈমসহ অন্যদের গাড়িতে করে সমুদ্র বন্দরের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সমুদ্র বন্দরে গাড়ি থেকে নামিয়ে তাদেরকে জোর করে একটি মাছ ধরার ট্রলারে উঠানো হয়। ওই ট্রলারে তারা একসঙ্গে ৫৩ জন বাংলাদেশি ছিলেন। যাওয়ার পথে তাদের ট্রলার নষ্ট হয়ে যায়। এরপর ৪টি স্পিডবোটে ভাগ করে সবাইকে তুলে ইরানের সীমান্তে নিয়ে যায় পাচারকারীরা।
ইরানের বন্দর আব্বাসে নেমে আসে আমানুষিক নির্যাতন
স্পিডবোটে বন্দর আব্বাসে পৌঁছার পর সেখান থেকে ৫-৬টি মাইক্রোবাসে করে সবাইকে একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে দুটি রুমে আটকে রাখে চক্রটি। এরপর পালাক্রমে ৫-৬ জন মিলে দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশিদের ওপর নির্যাতন শুরু করে। বেধড়ক মারধর করে চাওয়া হয় মুক্তিপণ।
নাঈম বলেন, ‘ওদের কথামতো মুক্তিপণ দিতে না চাওয়ায় নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। বাধ্য হয়ে আলী হোসেন ও হান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা একটি একাউন্ট নম্বর দিলে সেখানে আমার ভাই ২ লাখ ১০ হাজার টাকা পাঠায়। টাকা দেয়ার পর ইরানিরা আরও টাকা চায়। আলী ও হান্নানকে অনুরোধ করে নিজের অপারগতা প্রকাশ করলে ইরানিরা তিন দিন পর আমাদেরকে গাড়িতে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।’
দুর্গম মরুযাত্রা
বন্দর আব্বাস থেকে গাড়িতে করে ৫৩জনকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। মরুভূমিতে সারাদিন আটকে রাখার পর রাতে শুরু হয় সিরাজ শহরের উদ্দেশে যাত্রা।
নাঈম বলেন, ‘মরুভূমিতে সারাদিন আটকে রাখার পর আফগান, পাকিস্তানি ও বাংলাদেশি নারী-পুরুষ মিলে ১০০ জনের মতো লোককে ৬টি গাড়িতে একটি স্থানে নেয়া হয়। গাড়ি থেকে নেমে ৬ ঘণ্টা হেটে ও দৌড়ে আমাদেরকে মেইন রোডে নিয়ে তোলে পাচারকারীরা। আরও ৩-৪ ঘণ্টা পর দালালের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমাদেরকে গাড়িতে করে ইরানের সিরাজ শহরে নেয়া হয়।
সিরাজ শহরে নাঈমসহ অন্যদের রিসিভ করে আলীর ছেলে সাব্বির। নাঈম জানান, সিরাজ শহরে এশিয়ান, আফ্রিকান অনেককে নিয়ে আসা হয়। তাদেরকে দুই-একদিন এখানে রেখে নিয়ে যাওয়া হয় ইরানের রাজধানী শহর তেহরানে।
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি
তেহরানে নাঈমসহ তিনজনকে আলাদা আলাদা রুমে রাখা হয়। পরদিন হান্নানের পরিচিত এক বাংলাদেশি মিজাদুলের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় নাঈমকে। নির্যাতন আর দুর্গম যাত্রার ধকলে সেখানে যাওয়ার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
নাঈম বলেন, ‘আলী হোসেনকে টাকা দেয়ার পর আমার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর সহ্য করতে না পেরে মিজাদুলকে বলি আমাকে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে। কিন্তু মিজাদুল জানিয়ে দেন- সেজন্য দেড় লাখ টাকা লাগবে। আর তেহরান থেকে তা সম্ভব নয়। প্রথমে তুরস্কে পাঠিয়ে সেখান থেকে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।’
তুরস্কে পৌঁছে পুলিশের হাতে ধরা
মিজাদুলের কথায় রাজি হলে একটি গাড়িতে করে নাঈমসহ চারজনকে তুরস্কে পাঠানো হয়। রাতের আঁধারে তারা তুরস্কে প্রবেশ করেন। সেখানে তাদেরকে একটি ‘সেফ হোমে’ রাখা হয়। সেখানে দেড় লাখ টাকা দেয়ার পর তাকে দালালদের মাধ্যমে পাঠানো হয় তুরস্কের তাৎবান শহরে।
নাঈমের ভাষ্য, ‘১৮ মে মিজাদুলকে দেড় লাখ টাকা দেয়ার পর গাড়িতে করে আমাদেরকে একটি নদীর পাড়ে নামিয়ে দেয়া হয়। সেখান থেকে জাহাজে ৪ ঘণ্টা যাওয়ার পর দুটি পাহাড়ের মাঝে আমাদের নামিয়ে দেয় দালাল। সারারাত হাঁটার পর তাৎবান শহরে পৌঁছাই। একটি রুমে রাখা হয় ৩ ঘণ্টা। পরে মিজাদুল একটি প্রাইভেট কার পাঠায়। কারে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে নামিয়ে দিয়ে বলা হয় আমাদেরকে নিতে বাস আসবে। কিন্তু বাস আর আসেনি। চার ঘণ্টা পর মিজাদুল একটি ট্যাক্সি পাঠায়। ট্যাক্সিতে করে তাৎবান শহরে পৌঁছাই।
‘দুদিন পর মিজাদুল ও আলী হোসেন একটি গাড়ি পাঠান। তাতে উঠিয়ে আমাদের নিয়ে যাওয়া হয় তুরস্কের আদানা শহরে। সেখান থেকে ইস্তাম্বুল যাওয়ার পথে চেকপোস্টে পুলিশ আমাদের আটক করে। ১১ দিন কারাগারে থাকার পর মুক্তি পাই।’
বাংলাদেশ অ্যাম্বেসি ও আইওএম-এর সহায়তায় দেশে ফেরা
তুরস্কের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বাংলাদেশ অ্যাম্বেসিরর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন নাঈম। কিন্তু বাদ সাধে তার সঙ্গে কোনো কাগজ না থাকা। বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে যোগাযোগ করে আউট পাস ম্যানেজ করে দেশে ফিরতে আরও ছয় মাস লেগে যায় তার।
২০২২ সালের ২৮ মার্চ দেশে ফেরেন নাঈম। দেশে ফেরার পর আলী ও তার চক্রের কাছ থেকে টাকা উদ্ধাারের চেষ্টা করেন তিনি। উপায় না পেয়ে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন। আসামি করা হয় চক্রের প্রধান আলী হোসেন, দুবাইয়ে বসবাসকারী আব্দুল হান্নান, ইরানে থাকা মিজাদুল, আলী হোসেনের স্ত্রী রাশিয়া বেগম, শাহাদাৎ হোসেন ও সাব্বিরসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে।
পাচার চক্রের চারজন গ্রেপ্তার
মামলাটির তদন্ত শুরুর পর পাচার চক্রে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগ।
তারা হলেন- মাহামুদুল হাছান, জাহাঙ্গীর আলম বাদশা, সালামত উল্লাহ ও রাশিয়া বেগম। মাহামুদুল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে অগ্রগামী ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসের এয়ার কন্ডিশন সার্ভিসে এবং জাহাঙ্গীর সিভিল এভিয়েশনে কর্মরত বলে জানিয়েছে সিআইডি। সালামত উল্লাহ দালাল এবং রাশিয়া বেগম ইউরোপে বসবাসকারী এই চক্রের প্রধান আলীর স্ত্রী।
অধরা বিদেশে থাকা গডফাদাররা
দেশে জড়িত চারজন গ্রেপ্তার হলেও চক্রের হোতাসহ দেশের বাইরে যারা আছে তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের পর দেশের বাইরে থাকা জড়িতদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশের প্রবণতার বিষয়ে জানতে চাইলে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন বিভাগের প্রধান শরিফুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য ১৮টা রুট আছে। সবচেয়ে প্রচলিত রুট হচ্ছে লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি বা গ্রিসে যাওয়া।
‘গত ১৩-১৪ বছরে ৬৫ হাজারের মতো বাংলাদেশি এভাবে ইউরোপে ঢুকেছে। তাদের অর্ধেকের বেশি ঢুকেছে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে। দুবাই থেকে ইরান, তুরস্ক বা গ্রিস হয়ে ইউরোপে প্রবেশও এখন কমন একটি রুট। অনেক বছর ধরেই এই রুটে অবৈধভাবে লোকজন যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘গত বছরের নভেম্বর মাসে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিনিধিসহ অন্য কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে তারা জানান, অনেক বাংলাদেশি এভাবে তুরস্কে গিয়ে আটক হচ্ছেন। যারা অবৈধভাবে ইউরোপ যেতে চাচ্ছেন, তাদেরকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। তারা সচেতন না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের ঘটনা ঠেকানো সম্ভব নয়।’
শরিফুল হাসান বলেন, ‘ভিজিট ভিসা কাজের নিশ্চয়তা দেয় না। তারপরও এসব জেনে-বুঝেই ভিজিট ভিসায় দুবাই গিয়ে অনিয়মিত পন্থায় অনেকে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এই সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে।
‘বাংলাদেশের ৮-১০টি মানুষের মধ্যে অবৈধভাবে ইউরোপ যাত্রার প্রবণতা প্রবল। এর মধ্যে শরীয়তপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ একটি জোন। সিলেটের সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার আরেক জোন। আরেকটা জোন হলো ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো- নরসিংদী, ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা ও নোয়াখালী।’