বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ

  •    
  • ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০৮:৫০

স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মেসার্স টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক খোন্দকার রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৭টার দিকে ৩৩ হাজার টন কয়লা নিয়ে বন্দরে পৌঁছেছে পানামার পতাকাবাহী একটি জাহাজ। ১৬ ফেব্রুয়ারি ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরেকটি জাহাজ বন্দরে আসার কথা রয়েছে।’

বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৩৩ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে পানামার পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি এস পাইনেল’। বুধবার রাত সোয়া ৭টায় বন্দরের ফেয়ারওয়েতে জাহাজটি নোঙর করেছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩৩ হাজার টন কয়লা নিয়ে ২৭ জানুয়ারি ছেড়ে আসে জাহাজটি।

জানা গেছে, রাতেই বিদেশি ওই জাহাজ থেকে লাইটার জাহাজে কয়লা খালাস শুরু হবে। পরবর্তীতে জাহাজে করে এই কয়লা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব জেটিতে নেয়া হবে। পরে সেখান থেকে কয়লা নেয়া হবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইয়ার্ডে।

‘এমভি এস পাইনেল’-এর স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মেসার্স টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক খোন্দকার রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৭টার দিকে ৩৩ হাজার টন কয়লা নিয়ে বন্দর চ্যানেলের ফেয়ারওয়ে বয়ায় পৌঁছেছে পানামার পতাকাবাহী জাহাজটি। রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আমদানি করা এই কয়লা রাতেই খালাস শুরু হবে। এরপর তা লাইটার জাহাজে করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হবে।

‘১৬ ফেব্রুয়ারি রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আরও ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরেকটি জাহাজ বন্দরে আসার কথা রয়েছে।’

বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইদ একরাম উল্লাহ ৪ ফেব্রুয়ারি রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সে সময় তিনি বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। আমাদের সব ধএনর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এ সপ্তাহের মধ্যেই ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আসবে। কয়লা এলেই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট পুনরায় উৎপাদনে যাবে।’

নিয়মিত কয়লা আনতে পারলে জুনের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটও চালুর সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটির প্রথম ইউনিটে গত বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। ১৭ ডিসেম্বর থেকে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু হয়।

বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরুর মাত্র ২৭ দিনের মাথায় ডলার সংকটে কয়লা সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় ১৪ জানুয়ারি রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

এ বিভাগের আরো খবর