রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ৪৩৫টি প্লট বরাদ্দপ্রাপ্তদের নামের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি ওই প্লটগুলোর বর্তমান অবস্থান, ফটোগ্রাফ এবং লে-আউট প্ল্যান দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে ১৫ মার্চের মধ্যে এ নির্দেশ প্রতিপালন করতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনকারী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নজরুল ইসলাম খন্দকার।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, ২০১২ সালে দুটি পত্রিকায় তেজগাঁও শিল্প এলাকার প্লট বরাদ্দ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে হাইকোর্ট স্ব-প্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে। সেই রুল শুনানিতে বুধবার বরাদ্দ পাওয়া ৪৩৫ প্লট মালিকের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট।
২০১২ সালে দৈনিক সমকালে ‘রাস্তাকে প্লট বানিয়ে ভাগাভাগি’ এবং কালের কণ্ঠে ‘সড়ক প্রকল্প রাতারাতি হয়ে গেল শিল্পপ্লট’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, অবৈধভাবে দুই শতাধিক প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নিয়মনীতি ও আইনের তোয়াক্কা না করেই ১৯৫০ সাল থেকে এসব প্লট বরাদ্দ দেওয়া শুরু হয়। ওই এলাকায় ২০১১ সাল পর্যন্ত সরকারের শত শত বিঘা জমি ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান বাজারদরের চেয়ে কম মূল্যে ব্যক্তিবিশেষ বা প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে।
এ প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আদালত রুল জারি করে।