বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশের কচুর লতি-করলা গেল ভারতে

  • প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া   
  • ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২১:৩৪

ত্রিপুরায় রপ্তানি হয়েছে কচুর লতি, পেঁয়াজ পাতা, করলা ও গাজরসহ বেশ কিছু সবজি। এ সবজির প্রতি টন চার শ ডলারে রপ্তানি হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে সবজি রপ্তানি করা হয়েছে।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই পথে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় পাঁচ টন সবজি গেছে বলে স্থলবন্দরের সুপারিনডেন্ট সামাউল ইসলাম নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এদিন ত্রিপুরায় রপ্তানি হয়েছে কচুর লতি, পেঁয়াজ পাতা, করলা ও গাজরসহ বেশ কিছু সবজি। এ সবজির প্রতি টন চার শ ডলারে রপ্তানি হয়েছে।

সবজি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ডেফোডিল ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. নাছির উদ্দিন বলেন, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আগে কখনও সবজি রপ্তানি হয়নি। দীর্ঘ প্রচেষ্টার ফলে ত্রিপুরার আমদানিকারকদের সঙ্গে কথা বলে আট হাজার ডলারের সবজির একটি চুক্তিপত্র করা হয়। এতে পাঁচ টন করে চারটি শিপমেন্টে এই সবজিগুলো পাঠানো হবে।

তিনি বলেন, গত জানুয়ারিতে দুটি শিপমেন্টে সবজি গিয়েছে। বুধবার তৃতীয় শিপমেন্টটি গিয়েছে। আশা করি আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে নতুন একটি সম্ভাবনার দ্বার তৈরি হয়েছে। আমাদের এই ধারবাহিকতা চলমান থাকবে।

আখাউড়া স্থল বন্দরের সুপারিনটেনডেন্ট সামাউল ইসলাম জানান, মূলত আখাউড়া স্থলবন্দর একটি রপ্তানিমুখি স্থলবন্দর। কিন্তু বর্তমানে রপ্তানির পরিমাণ কমে গেছে। এই সবজি রপ্তানির মাধ্যমে স্থলবন্দরটি আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠবে এবং দেশ ও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে। তার পাশাপাশি বন্দরের রাজস্ব আদায়েও ভূমিকা পালন করবে।

১৯৯৫ সালের পর প্রথম আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় পণ্য রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১০ সালের ১৩ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এ বন্দর।

এরপর থেকে বন্দরটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকার রড, সিমেন্ট, পাথর, প্লাস্টিক, মাছ, তুলা, ভোজ্য তেল ও খাদ্য সামগ্রীসহ অর্ধশত পণ্য রপ্তানি হতে থাকে। এসব পণ্য আগরতলা থেকে সরবরাহ করা হয় ভারতের সেভেন সিস্টার খ্যাত সাতটি রাজ্যে।

এ বিভাগের আরো খবর