ঢাকার কামরাঙ্গীর চরের রসুলপুরে এক মাদ্রাসা ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির সময় তার পায়ুপথে অস্বাভাবিকতার চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। এই শিশু শিক্ষার্থী কারও দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে।
সোমবার রাতে তাকে ঘরের ভেতর ঝুলন্ত অবস্থায় পায় পরিবারের সদস্যরা। পরে মধ্যরাতে তার মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত ১৪ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতেন কামরাঙ্গীর চরে নুরিয়া মাদ্রাসায়। এই মাদ্রাসা থেকে হাফেজ হয়ে গত শুক্রবার ওয়াজ মাহফিলে পাগড়ি পান। পাগড়ি গ্রহণ শেষে সে বাসায় ফেরে। এরপর থেকে ওই শিক্ষার্থী বাসাতেই ছিল।
কামরাঙ্গীর চর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, গতকাল ওর মাদ্রাসার যাওয়ার কথা। কিন্তু যেতে চাইনি। রাতে একটি কক্ষে দরজা বন্ধ করে অনেকক্ষণ ভেতরে থাকলে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। ভেতরে তাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
শিশু শিক্ষার্থীর পায়ুপথে অস্বাভাবিকতা দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন ওসি মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, আত্মহত্যা করলে পায়ুপথে বীর্য ও মল আসে। এই ভিকটিমের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এর বাইরে তার পায়ুপথ স্ফিত ছিল। যেটা দেখে আমাদের সন্দেহ হয়েছে। আমরা মরদেহ ময়নাতদন্ত করিয়েছি। ডাক্তার কোনো কিছু জানাননি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।
এ ঘটনায় এরইমধ্যে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে, তবে তদন্তে যৌন নির্যাতন বা অন্য কিছু পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওসি মোস্তাফিজুর।