বরিশালের পাঁচ যানবাহনের মধ্যকার সংঘর্ষে এক যাত্রী নিহত হয়েছেন।
উজিরপুরের ইচলাদি টোলঘর সংলগ্ন বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ৫৫ বছর বয়সী বাচ্চু সিকদার উজিরপুরের বড়াকোঠা ইউনিয়নের চাউলাহার গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে বরিশালে প্রচুর কুয়াশা পড়ছিল ফলে দৃষ্টিসীমাও কম ছিল। দুর্ঘটনার সময় বরিশাল থেকে ঢাকাগামী বিএমএফ পরিবহনের গাড়িটি ইচলাদী ব্রিজের টোলঘরের আগে সড়কের পাশে দাঁড়ানো ছিল। ঘটনার সময় গাড়িটির পেছনে একটি প্রাইভেটকার এসে দাঁড়ায়, আর তখনই প্রাইভেটকারটিকে পেছন থেকে বরিশাল থেকে পয়সারহাটগামী হাসেম অ্যান্ড সন্স নামের লোকাল বাস ধাক্কা দেয়। এতে দুই বাসের মধ্যে চাপা পড়ে প্রাইভেটকারটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
তারা আরও জানান, এদিকে প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দেয়ার পর লোকাল বাসটির সামনের অংশ সড়কের বিপরীত পাশ দিয়ে যাওয়া মাহিন্দ্রাকে ধাক্কা দেয়। তখন মাহিন্দ্রার ঠিক পেছনে থাকা ইট বহনকারী থ্রি হুইলার ট্রলিটিও এসে মাহিন্দ্রার ওপর আছড়ে পড়ে। এতে পাঁচটি যানবাহনের ১২ জন যাত্রী আহত হয়। গুরুতর আহতদের হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর মাহিন্দ্রার যাত্রী বাচ্চু সিকদারের মৃত্যু হয়।
উজিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. তৌহিদুজ্জামান ও ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা জানান, গুরুতর আহতদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে। ঘটনার পর চারটি যানবাহন ঘটনাস্থলে থাকলেও বিএমএফ পরিবহনটি যাত্রী নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে চলে গেছে। সেই সঙ্গে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে দুর্ঘটনার পরপরই দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনগুলো সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি জানিয়ে গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, সড়কটিতে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে এবং দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনগুলো জব্দ করা হয়েছে।