বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাদারীপুরে শীত-কুয়াশায় ফসলের ক্ষতি

  • প্রতিনিধি, মাদারীপুর   
  • ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১১:৪১

জেলা কৃষি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক দিগবিজয় হাজরা বলেন, ‘শীতে কিছু ফসেলর ক্ষতি হলেও অধিকাংশের উপকার হয়। তবে শীত আর কুয়াশার তীব্রতা বাড়লে বোরো ধান রোপণ থেকে বিরতি থাকতে হবে। যদি শীত আর কুয়াশা বেশি হয়, তাহলে পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। কৃষকদের সহযোগিার বিষয় আমাদের মাথায় আছে। আমরা চেষ্টা করি তাদের সহযোগিতা করার।’

গত মাসখানিক জুড়ে শীতের তীব্রতায় জনজীবন বিপন্ন হওয়ার পাশাপাশি ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে মাদারীপুরে। কৃষকরা বলছেন, কীটনাশক স্প্রে করেও সুফল মিলছে না, তাই প্রান্তিক চাষিরা সরকারিভাবে সহযোগিতা দাবি করছেন। এদিকে শীতে বোরো ধান রোপণ করতে কিছুটা দেরি করার আহ্বান কৃষি অধিদপ্তরের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘন কুয়াশা ও রোদ না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শীতকালীন লাউ, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ধানের চারা, ঝরে পড়ছে সরিষার ফুল। তীব্র ঠাণ্ডায় কৃষক জমিতে কাজ করতে পারছেনা। অনেকে পলিথিন আর নেট দিয়ে ঢেকে কিংবা নানা রকমের কীটনাশক স্প্রে করেও তেমন কোনও সুফল পাচ্ছেন না।

চলতি রবি মৌসুমে মাদারীপুরে বিভিন্ন ফসল আবাদ হয়েছে ৫৪ হাজার ১১ হেক্টর জমিতে, যার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯০ হাজার ৪৫ হেক্টর। মৌসুমের শুরু থেকেই বাজারে দাম ভাল থাকলেও অব্যাহত ঘন কুয়াশা মৌসুমি বৃষ্টির ফলে ক্ষেতে ডগা পাচা রোগসহ ও অন্যান্য পোকা মাকড়ের আক্রমণে গাছের ক্ষতি হয়েছে, হ্রাস পেয়েছে উৎপাদনও। তাই চোখে মুখে অন্ধকার দেখছেন চাষিরা।

পাঁচখোলা গ্রামের চাষি কুদ্দুস ফকির বলেন, ‘গেলো দেড় দুই মাস শীত আর কুয়াশা পড়ায় আমার বেশিরভাগ লাউয়ে ফুল এসে পচে গেছে। যে কারণে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হচ্ছে। কৃষি অফিস থেকে খোঁজ খবরটুকুও নেয় না। আমাদের তৃণমূলের চাষিরা আল্লাহর ওপর ভরসা করে চাষাবাদ করি। কিন্তু সরকারি সহযোগিতা পাই না।’

আরেক কৃষক কুলপদ্ধি এলাকার মোছলেম উদ্দিন বলেন, ‘এবার আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে, যদি সরকারিভাবে সহযোগিতা না করে তাহলে আমাদের মাথায় হাত। শীতকালীন ফসলের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। তাই সরকারি উদ্যোগে বীজ সার আর সহজ শর্তে ঋণ দাবি করি। যদি এসব দেয়, তাহলে আমরা কৃষকরা বাঁচব।’

জেলা কৃষি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক দিগবিজয় হাজরা বলেন, ‘শীতে কিছু ফসেলর ক্ষতি হলেও অধিকাংশের উপকার হয়। তবে শীত আর কুয়াশার তীব্রতা বাড়লে বোরো ধান রোপণ থেকে বিরতি থাকতে হবে। যদি শীত আর কুয়াশা বেশি হয়, তাহলে পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। কৃষকদের সহযোগিার বিষয় আমাদের মাথায় আছে। আমরা চেষ্টা করি তাদের সহযোগিতা করার।’

এ বিভাগের আরো খবর