চুয়াডাঙ্গায় খাদ্যগুদামে গমের চালান নিয়ে আসা ট্রাকে মিলেছে বালু ও পাথরভর্তি ২৮টি বস্তা। এ ঘটনায় ট্রাকটির তিন সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জেলা খাদ্যগুদামে ট্রাক থেকে গম নামানো সময় গত রোববার দুপুরে বালু ও পাথরগুলো পাওয়া যায়, তবে ট্রাকে পাথরগুলো কীভাবে এল, তা জানাতে পারছেন না চালক ও সহকারী।
এদিকে ঘটনা তদন্তে আলমডাঙ্গা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল হামিদকে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনার সরকার এন্টারপ্রাইজ, জোনাকি এন্টারপ্রাইজ ও সানরাইজ এন্টারপ্রাইজের পরিবহন ঠিকাদারের মাধ্যমে চুক্তি অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা খাদ্যগুদামে মোট ৩০০ টন গম পাঠানোর কথা ছিল। গত শুক্রবার গমের প্রথম চালানে ১০০ মেট্রিক টন আসে। এরপর রোববার ভোরে দ্বিতীয় চালানের ১০০ মেট্রিক টন গম চুয়াডাঙ্গা খাদ্যগুদামে আসে। পরে গমের বস্তা নামানোর সময় একটি ট্রাকে বালুভর্তি কয়েকটি বস্তা পাওয়া যায়। পরে সবগুলো ট্রাকে তল্লাশি করে সন্ধান মেলে বালু ও পাথরভর্তি ২৮টি বস্তার।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চুয়াডাঙ্গা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ধারণা করছি ট্রাক থেকে গম চুরি করে ওজন ঠিক রাখতে বালু আর পাথর দিয়ে তা সমন্বয় করার চেষ্টা করা হয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক একেএম শহীদুল ইসলাম বলেন, খুলনার ৪ নম্বর ঘাট থেকে ট্রাকগুলোতে গম লোড হয়েছিল। সেখান থেকে বালুর বস্তা ট্রাকে তোলার কোনো সুযোগ নেই। রাস্তার মধ্যে এমন কোনো কারসাজি হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছি। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। আগামী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান বলেন, খাদ্যগুদামে ট্রাক ফেলে চালক ও সহকারীরা পালিয়েছেন, তবে তিন সহকারী পালাতে না পারায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ছয়টি ট্রাক। এ ঘটনায় খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।