প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশপ্রেম ও জনগণের প্রতি কর্তব্যবোধ মোসলেম উদ্দিনকে স্মরণীয় করে রাখবে। রাজনীতির মাঠে তিনি পথ হারাননি। মুক্তিযুদ্ধসহ সব লড়াই-সংগ্রামে তিনি সক্রিয় ছিলেন এবং সাহসী ভূমিকা রেখেছেন।
জাতীয় সংসদে সোমবার সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন আহমেদের ওপর শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা এ কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তরের বর্বর হত্যাকাণ্ডের পর মোসলেম উদ্দিন প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার ভোট চুরিসহ সব ধরনের আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ছিলেন।
‘সারাদেশে নেতা-কর্মীদের প্রতি হত্যা-নির্যাতন হলেও তিনি কখনও আওয়ামী লীগ থেকে বিচ্যুতি হননি। জাতীয় স্বার্থে তিনি অনেক অবদান রেখে গেছেন।’
আলোচনায় আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শাহাজান খান, ড. হাছান মাহমুদ ও আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির আনিসুল ইমলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশিদ ও মসিউর রহমান রাঙ্গা।
শোক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও সর্বসম্মতভাবে তা গ্রহণের পর মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এর আগে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। তাঁর মৃত্যুতে সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ী দিনের অন্যান্য কার্যসূচি স্থগিত রেখে সংসদ অধিবেশন মূলতবি করা হয়। মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় আবার সংসদের অধিবেশন বসবে।
প্রসঙ্গ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন আহমেদ সোমবার ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান।