রাজধানীর সব ফ্লাইওভার থেকে দেয়াল লিখন ও পোস্টার দুই সপ্তাহের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেয়।
জড়িতদের বিরুদ্ধে দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১২-এর ৬ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ৭ দিনের মধ্যে একটা মনিটরিং টিম করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। টিমের কাজ হবে ফ্লাইওভারগুলোতে দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো নিয়ন্ত্রণ করবে।
দুই সপ্তাহের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রুলে ফ্লাইওভারগুলোর দেয়াল থেকে বিজ্ঞাপনের লেখা ও পোস্টার লাগানো বন্ধ করতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে এ রিট আবেদন করা হয়।
দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্য কোনো স্থানে দেয়াল লিখন বা পোস্টার লাগানো যাবে না।
আইনে বলা হয়, ‘কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দেয়াল লিখন বা পোস্টার লাগানোর জন্য প্রশাসনিক আদেশ দ্বারা স্থান নির্ধারণ করে দিতে পারবে এবং উক্তরূপে নির্ধারিত স্থানে দেয়াল লিখন বা পোস্টার লাগানো যাবে। তবে শর্ত থাকে যে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে উল্লেখিত নির্ধারিত স্থান ব্যতীত অন্য কোনো স্থানে বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্ত ও পদ্ধতিতে এবং নির্দিষ্ট ফি দেয়া সাপেক্ষে দেয়াল লিখন বা পোস্টার লাগানো যাবে। কোনো ব্যক্তি এ বিধান লঙ্ঘন করলে তা এ আইনের অধীন অপরাধ।’
রাজধানীতে যেখানে সেখানে দেয়ালে লেখা ও পোস্টার লাগানো নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে নাগরিকদের অনেকের মধ্যে। সম্প্রতি মেট্রোরেলের পিলারে পোস্টার লাগানো নিয়ে নতুন করে আলোচনায় আসেন ‘পোস্টার বয়’ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠা জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইফুদ্দিন মিলন।
অবৈধভাবে পোস্টার লাগানো থেকে বিরত থাকতে তাকে নোটিশ দিয়ে সতর্ক করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।