চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার নলুয়া ইউনিয়নের পূর্ব গাটিয়াডেঙ্গায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে থানা পুলিশ।
হাঙ্গরমুখ বাজার এলাকায় শনিবার ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জনগণকে নিয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় স্থানীয় জনগণ তাদের বিভিন্ন অভিযোগ ও সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এতে পুলিশ প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাতকানিয়া সার্কেলের এএসপি শিবলী নোমান বলেন, ‘আপনারা ভয় পাবেন না। নির্ভয়ে পুলিশকে তথ্য দেন। আমরা কথা দিচ্ছি অপরাধী ও অপরাধীদের প্রশ্রয়দাতাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব পর্যায়ক্রমে।’
সভাপতির বক্তব্যে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘এলাকার কিছু বহিরাগত ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে। জামশেদ নামে এক শিবির ক্যাডার এর জন্য দায়ী।’
সন্ত্রাসীদের ধরে পুলিশকে খবর দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মোস্তাক আহমেদ আঙ্গুর, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আহমদ মিয়া, নলুয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. লেয়াকত আলী, নলুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অমল দাশ মানিক, সাতকানিয়া থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম, ঢেমশা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ছৈয়দ ওমর।
সভায় স্থানীয়রা নলুয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চিত্র তুলে ধরেন।
তাদের ভাষ্য, সম্প্রতি এ ওয়ার্ডের শৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে। একটি চিহ্নিত মহলের ইন্ধনে এলাকার কিছু উঠতি যুবক ও কিশোর নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়াচ্ছে। তারা মাদক সেবন ও কারবারের সঙ্গেও জড়িয়ে পড়েছে। কথায় কথায় গুলি ছুড়ে মারধর করে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে এলাকায়। তাদের বিরুদ্ধাচরণ করলেই চালানো হয় হামলা।
পুলিশের কর্মকর্তারা স্থানীয় জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, পুলিশ জনগণের সেবক। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই পুলিশের কাজ।
ঢেমশা তদন্ত কেন্দ্রের এসআই জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন থানা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবদুল মান্নান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আ জ ম সেলিম, থানা যুবলীগ নেতা এটিএম সাইফুল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ নবী, যুবলীগ সভাপতি জহির উদ্দিন মিন্টু, আলমগীর মো. আবু সুফিয়ান, শাহনেওয়ার মো. আবু খলিল, শাহজাহান মো. টুন্টু, আবদুল আজীজ, মো. ইব্রাহীম, মো. হাসান, মো. হোসেন, শহীদুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম বাচা, মো. মোজাম্মেল, শিরিন আকতার, ফরিদা ইয়াসমিন, জাফর আহম্মদ ভুট্টো, মনসুর আহম্মদ, মো. মুসা, আখতারুজ্জামান রাসেল, আবদুর রহমান, মামুনসহ অনেকে।