বাতাসের নিম্নমানের দিক থেকে আইকিউএয়ারের তালিকায় নিয়মিত ওপরে থাকা ঢাকা ফের শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র্যাঙ্কিংয়ে রোববার সকাল ৯টা ৩২ মিনিটে দূষিত বায়ুর দিক থেকে ১০০টি শহরের মধ্যে প্রথমে ছিল বাংলাদেশের রাজধানী।
আগের দিন শনিবার সকাল ৯টা ৩৩ মিনিটে বাতাসের নিম্নমানে ১০০টি শহরের মধ্যে ষষ্ঠ অবস্থানে ছিল ঢাকা।
ওই র্যাঙ্কিংয়ে শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে দূষিত বাতাসে সপ্তম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশের রাজধানী।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বাতাসের নিম্নমানে শহরগুলোর মধ্যে ১১তম অবস্থানে ছিল ঢাকা।
আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ সকালের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ৩৬ গুণ বেশি। আগের দিন কাছাকাছি সময়ে সেটি ছিল ২৭ গুণ বেশি। শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে সেটি ছিল ২১ দশমিক ২ গুণ বেশি।
র্যাঙ্কিংয়ে বাতাসের নিম্নমানের দিক থেকে আজ সকাল ৯টা ৩২ মিনিটে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল ভারতের মুম্বাই ও চীনের চেংদু। চতুর্থ অবস্থানে ছিল পাকিস্তানের লাহোর।
নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।
কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।
আইকিউএয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।
১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।
র্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।
সকাল ৯টা ৩২ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ২৩০। এর মানে হলো সে সময়টাতে খুবই অস্বাস্থ্যকর বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয়েছে রাজধানীবাসীকে। আগের দিন কাছাকাছি সময়ে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৯২। এর অর্থ হলো গতকাল ওই সময়ে অস্বাস্থ্যকর বাতাসে ছিল রাজধানীবাসী।
শুক্র ও বৃহস্পতিবার কাছাকাছি সময়ে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৭৬ ও ১৬৩। এর অর্থ হলো দুই দিনই নির্দিষ্ট সময়ে অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিতে হয়েছে ঢাকাবাসীকে।