বাতাসের নিম্নমানের দিক থেকে আইকিউএয়ারের তালিকায় নিয়মিত ওপরে থাকা ঢাকার বায়ুর মানের আরও অবনতি হয়েছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র্যাঙ্কিংয়ে শনিবার সকাল ৯টা ৩৩ মিনিটে বাতাসের মানে ১০০টি শহরের মধ্যে ষষ্ঠ অবস্থানে ছিল বাংলাদেশের রাজধানী।
ওই র্যাঙ্কিংয়ে শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে বাতাসের মানে শহরগুলোর মধ্যে সপ্তম অবস্থানে ছিল ঢাকা।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বাতাসের মানে শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল ১১তম।
আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ সকালের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ২৭ গুণ বেশি। গতকাল সকাল সোয়া ৯টার দিকে সেটি ছিল ২১ দশমিক ২ গুণ বেশি।
র্যাঙ্কিংয়ে বাতাসের নিম্নমানের দিক থেকে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শীর্ষে ছিল আফগানিস্তানের কাবুল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল ভারতের মুম্বাই ও পাকিস্তানের করাচি।
নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।
কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।
আইকিউএয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।
১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।
র্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৯২। এর মানে হলো সে সময়টাতে অস্বাস্থ্যকর বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয়েছে রাজধানীবাসীকে।
আগের দুই দিন কাছাকাছি সময়ে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৭৬ ও ১৬৩।