বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুন্দরবনে ভারতের প্রমোদতরি ‘এম ভি গঙ্গা বিলাস’

  • প্রতিনিধি, বাগেরহাট   
  • ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২৩:৪২

শনিবার দুপুরে মোংলা বন্দরে আসবে গঙ্গা বিলাস। বন্দরের ৬ নম্বর জেটিতে ভিড়বে বিলাসবহুল পাঁচ তারকা মানের এ জাহাজটি। মোংলা বন্দর জেটিতে প্রমোদতরি ও বিদেশি পর্যটকদের স্বাগত জানাতে নানা প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

ভারতের প্রমোদতরি ‘এম ভি গঙ্গা বিলাস’ সুন্দরবনের নৌ সীমান্ত পথে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এই প্রমোদতরি বাংলাদেশে প্রবেশে করে। দেশের সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের নৌপথে ভ্রমণকালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের একটি টিম এর সঙ্গে রয়েছে।

গত ১৩ জানুয়ারি এই প্রমোদতরির উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বারানসি থেকে যাত্রা শুরু করা এই নৌযান বাংলাদেশ হয়ে আসাম রাজ্যের ডিব্রুগড়ে পৌঁছাবে ৫১ দিনে। পাড়ি দেবে ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার। দুই দেশের মোট ২৭টি নদী পাড়ি দেবে এই বেসরকারি প্রমোদতরি।

শনিবার দুপুরে মোংলা বন্দরে আসবে গঙ্গা বিলাস। বন্দরের ৬ নম্বর জেটিতে ভিড়বে বিলাসবহুল পাঁচ তারকা মানের এ জাহাজটি। মোংলা বন্দর জেটিতে প্রমোদতরি ও বিদেশি পর্যটকদের স্বাগত জানাতে নানা প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহামুদ চৌধুরী, ভারতীয় হাইকমিশনার ও মোংলা বন্দর চেয়ারম্যানসহ পদস্থ কর্মকর্তারা অভ্যার্থনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিদেশি পর্যটকবাহী গঙ্গা বিলাস সুন্দরবনের আংটিহারায় প্রবেশের পর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর থেকে প্রমোদতরিটি সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অবস্থান করছে। শনিবার এটি মোংলা বন্দর জেটিতে ভেড়ার ভিড়‌বে।

বাংলাদেশে অবস্থানকালে গঙ্গা বিলাসের যাত্রীরা খুলনার কয়রার আংটিহারা হয়ে ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন দিয়ে মোংলা বন্দর হয়ে বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ এলাকা ঘুরবেন। এরপর বিদেশি পর্যটকরা নৌ পথে বরিশাল হয়ে মেঘনা ঘাটে অবস্থান করে সোনারগাঁও ও ঢাকায় ভ্রমণ করবেন।

পরবর্তীতে টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ হয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারী, রংপুরের দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণের সুযোগ থাকছে তাদের। ভারতে এই প্রমোদতরি প্রবেশ করবে চিলমারী থেকে।

গঙ্গা বিলাস এ দেশে থাকাকালীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ প্রটোকল রুটের নাব্য রক্ষা, বার্দিং সুবিধা নিশ্চিতকরণ ও নৌপথ ব্যবহারের জন্য ভয়েজ পারমিশন এবং ভয়েজ পারমিশনের সার্বিক মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকবে।

আগামী ১৩ মার্চ গঙ্গা বিলাস আসামের ডিব্রুগড় থেকে একই পথে ফেরার কথা রয়েছে।

এ প্রমোদতরিতে চেপে ৫১ দিন ভ্রমণে মাথাপিছু খরচ পড়বে প্রায় ২০ লাখ রুপি। এতে রয়েছে মোট ১৮টি বিলাসবহুল স্যুইট। প্রতিটিতে দুজনের থাকার বন্দোবস্ত রয়েছে। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক স্পা, জিম, লাইব্রেরি, বিনোদনের বন্দোবস্ত এবং দেশ-বিদেশের খাওয়া।

এ বিভাগের আরো খবর