বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাবা-ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, স্বামী-স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার ৪

  • প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ   
  • ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৫:৫৬

র‌্যাব-১৪ সদর দপ্তরের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তাদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’

ময়মনসিংহ সদরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকদের ছুরিকাঘাতে বাবা ও ছেলেকে হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

ময়মনসিংহ র‌্যাব-১৪ সদর দপ্তরের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার সাভার থানাধীন বাইপাইল ও গাজীপুরের জয়দেবপুর থানাধীন টিএন্ডটি মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন সদর উপজেলার ভাবখালী ইউনিয়নের চুরখাই এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ৫২ বছর বয়সী ছেলে কামাল হোসেন, তার ৪০ বছর বয়সী স্ত্রী জাহানারা, তাদের ১৫ বছর বয়সী এক ছেলে এবং নবী হোসেনের ১৯ বছর বয়সী ছেলে মো. নাঈম।

নিহতরা হলেন একই এলাকার ৬০ বছর বয়সী আবুল খায়ের ও তার ২০ বছর বয়সী ছেলে ফরহাদ হোসেন।

র‌্যাব-১৪ সদর দপ্তরের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান জানান, বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নিজ জমিতে আবুল খায়ের হাল চাষ করছিল। এ সময় কামাল হোসেনের সঙ্গে জমির মাপযোপ করা নিয়ে তার কথা-কাটাকাটি হয়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে কামাল হোসেন তার স্ত্রী, ছেলেসহ কয়েকজনকে ডেকে আনে।

পরে তারা ধারালো দা, চাকু, বাঁশের লাঠি ও লোহার রড নিয়ে এসে আবুল খায়েরকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। এ অবস্থায় তার ডাক-চিৎকারে ছোট ছেলে ফরহাদসহ অন্যান্য ছেলে, ভাই ও ভাইয়ের ছেলে বাঁচাতে আসলে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সবাইকেই এলোপাথারিভাবে মারধর করা হয়।

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আবুল খায়ের ও তার ছেলে ফরহাদ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহত আবুল খায়েরের ছেলে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই হত্যায় জাড়িতরা পলাতক ছিলেন। ঘটনাটি র‌্যাব জানতে পেরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের পালিয়ে থাকার অবস্থান জানতে পেরে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে।’

অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তাদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর