বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিঁধ কেটে মা ও দুই সন্তানকে কোপাল দুর্বৃত্তরা

  • প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া   
  • ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৫:৪৯

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান জানান, যেখানে ঘটনা ঘটেছে তার আশপাশে কোনো বাড়ি নেই। যেহেতু বাড়ি থেকে কোনো জিনিসপত্র লুট করা হয়নি, এটি ডাকাতি হিসেবে ধরা যাচ্ছে না। তবে রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আশুগঞ্জে ঘরের সিঁধ কেটে মা ও দুই সন্তানকে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা।

উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খোলাপাড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন মনির হোসেনের স্ত্রী আকলিমা বেগম, ৭ বছর বয়সী ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে মোহাম্মত ও ৫ বছর বয়সী মেয়ে মারিয়া। মনির হোসেন খোলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।

আকলিমার ভাসুর ইউসুফ মিয়া ঘটনার বরাতে জানান, তার ছোট ভাই মনির হোসেন ৫/৬ মাস আগে ঘর তৈরি করে ওই গ্রামের এক ফসলি জমির মাঝে। তারা পাঁচ ভাই হওয়াতে আসল বাড়িতে জায়গার স্বল্পতার কারণে মনির সেখানে জায়গা কিনে ঘর বাঁধে। দীর্ঘ ৫/৬ মাস যাবৎ মনির হোসেন ও তার পরিবার সেখানে বাসবাস করছিলেন। মনির ইট কারখানায় কাজ করেন নবীনগরে। তাই বেশিরভাগ সময় আকলিমা ও তার সন্তানরা একাই থাকেন সেই বাড়িতে।

বৃহস্পতিবার সকালে মনির হোসেনের মেয়ে মারিয়াকে মাদ্রাসায় নিয়ে যেতে বাড়িতে আসেন তার এক বান্ধবী। তবে সেখানে গিয়ে দেখে ঘরের দরজার পাশ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। মেয়েটি তার মাকে বিষয়টি জানালে স্থানীয় লোকজন নিয়ে মনির হোসেনের বাড়িতে গিয়ে দরজা খুলে আকলিমা, তার ছেলে আব্দুল্লাহ ও তার মেয়ে মারিয়াকে রক্তাক্ত অবস্থায় অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

পরে আহতদের উদ্ধার করে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। তবে ঘরের ভিতর থেকে কোনো মালামাল লুট করা হয় নি।

মনির হোসেনের চাচাতো ভাই মিন্নাত আলী জানান, মনির হোসেন একজন সরল-সিধা মানুষ। তার সঙ্গে কারোই শত্রুতা থাকার কথা নয়। আকলিমার হাতে, ঘাড়ে ও মাথাসহ শরীরে একাধিক জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম রয়েছে। মাথার আঘাতগুলো অত্যন্ত গভীর। তাছাড়া আকলিমার ছেলে আব্দুল্লাহ ও মেয়ে মারিয়ার মাথায় ও ঘাড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপানো হয়েছে। তবে কে করেছে, কারা করেছে বিষয়টি ধারণার বাইরে। আকলিমা গুরুতর আহত হয়েছে। তিনি কথা বলার পরিস্থিতিতে নেই। তাকে জিজ্ঞেস করলে হয়ত কিছু একটা জানা যেতে পারে।

মনির হোসেন বলেন, ‘আমি সহজে কারো সঙ্গে শত্রুতা করি না। বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় আমি আমার ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। এরপর আর কথা হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে আমার পরিবার বিষয়টি জানায়। কে বা করা এমন করেছে এ ব্যাপারে আমার কোনো ধারণা নেই। পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।’

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান জানান, যেখানে ঘটনা ঘটেছে তার আশপাশে কোনো বাড়ি নেই। যেহেতু বাড়ি থেকে কোনো জিনিসপত্র লুট করা হয়নি, এটি ডাকাতি হিসেবে ধরা যাচ্ছে না। তবে রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ফয়সাল আল আহসান বলেন, ‘আহত তিনজনের মধ্যে ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে মোহাম্মদের মাথার আঘাতটি ব্রেইন পর্যন্ত গেছে। তার অস্ত্রোপাচার করানো হয়েছে। তাছাড়া আব্দুল্লাহর মা আকলিমা ও তার বোন মারিয়ার সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে। উভয়ই আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর