বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খুলনায় সমাবেশ নিয়ে অনুমতির অপেক্ষায় বিএনপি

  • প্রতিনিধি, খুলনা    
  • ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১০:৩৪

বিএনপির নেতারা বলছেন, তারা আশা করছেন সমাবেশ হবে। অনুমতিও মিলবে। তবে ইতোমধ্যে পুলিশ গিয়ে তাদের দলীয় কার্যালয়ে তল্লাশি চালানোয় সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে কি না তা নিয়ে তারা শঙ্কিত।

১০ দফা দাবি আদায়ে ৪ ফেব্রুয়ারি খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়েছে, নেয়া হয়েছে প্রস্তুতিও। তবে এখনও এই সমাবেশের অনুমতি মেলেনি। কোথায় সমাবেশ হবে তা-ও ঠিক হয়নি।

নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বর অথবা হাদিস পার্কে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে খুলনা সিটি করপোরেশনকে (কেসিসি) চিঠি দিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনারকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।

তবে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত সমাবেশের স্থান বা অনুমতির ব্যপারে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি কেসিসি বা কেএমপি।

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল-আমিন নিউজবাংলাকে বলেছেন, খুলনায় বিএনপির সমাবেশ নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

আর বিএনপির নেতারা বলছেন, তারা আশা করছেন সমাবেশ হবে। অনুমতিও মিলবে। তবে ইতোমধ্যে পুলিশ গিয়ে তাদের দলীয় কার্যালয়ে তল্লাশি চালানোয় সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে কি না তা নিয়ে তারা শঙ্কিত।

এই সমাবেশ নিয়ে ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে খুলনা বিএনপি। এ জন্য দিন-রাত দৌড়ঝাঁপ করছেন দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অর্ধডজন নেতাসহ বিভাগের জ্যেষ্ঠ নেতারা।

নেতারা জানান, বিভাগের অধিকাংশ শীর্ষ নেতা কারাগারে বন্দি থাকলেও খুলনায় অবস্থানরত কেন্দ্রীয় নেতারা বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতি ঘটিয়ে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের মহড়া দিতে চায়।

৪ ফেব্রুয়ারির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সর্বস্তরে প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৪টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে।

খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান বলেন, ‘চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হবে। আন্দোলনে গুণগত পরিবর্তন এসেছে। বিএনপির কর্মসূচিতে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ছে।

‘হামলা হলে পাল্টা হামলার মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হচ্ছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে রাজপথ দখলে রাখার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে নেতা-কর্মীরা প্রস্তত আছেন।’

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘৪ ফেব্রুয়ারি খুলনায় বিএনপির সমাবেশের অনুমতি চেয়ে কেসিসি ও কেএমপিকে চিঠি দিয়েছি। সোনালী ব্যাংক চত্বর অথবা শহীদ হাদিস পার্কে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছি। সমাবেশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের আসতে যাতে বাধা দেয়া না হয় সে বিষয়ে কেএমপি কমিশনারকে জানিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ হবে, কোনো ধরনের বিশৃংখলা হবে না। তারা বলেছেন, আলোচনা করে পরে আমাদের জানাবেন। পুলিশ নিরাপত্তার বিষয়টি দেখবে।

‘আমাদের আগের বিভাগীয় গণসমাবেশের সময় সব গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়। তাই আমরা বলেছি, এভাবে পরিবহন বন্ধ করা যাবে না। আমাদের সমাবেশে যারা আসবে তাদের যেন বাধা না দেয়া হয় এবং তাদের ওপর যেন কোনো আক্রমণ না করা হয়।’

বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারি হেলাল বলেন, ‘খুলনার সমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মহাসমাবেশ করতে চাই। আমরা চাই না এই সমাবেশের আগে সরকার বা আওয়ামী লীগ বাধা সৃষ্টি করুক বা কোনো ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি করুক।’

তিনি আরও বলেন ‘৪ ফেব্রুয়ারির কর্মসূচি সফল করতে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা কাজ করছেন। আশা করছি অন্যান্য বিভাগের মতো খুলনার সমাবেশ সফল করার মধ্য দিয়ে সরকারকে আমরা বার্তা দিতে পারব, অবিলম্বে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিন। তা না হলে দুর্বার আন্দোলনে এ সরকারের পতন হবে।’

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিল্টন বলেন, ‘রাজপথের আন্দোলনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জুলাই মাস থেকেই ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন শুরু করে বিএনপি। ৫ম দফায় ৪ ফেব্রুয়ারি সারা দেশের বিভাগীয় সদরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর