বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে একতারা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বলেছেন, তিনি ভোটে না দাঁড়ালে ভোটাররা ঘর থেকে বের হতেন না।
বগুড়া-৪ আসনের (নন্দীগ্রাম-কাহালু) চাকলমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে বুধবার বেলা তিনটার দিকে সাংবাদিকের এ কথা বলেন তিনি।
ওই সময় তার সঙ্গে অর্ধশতাধিক ইউটিউবার ছিলেন। মূলত তাদের কারণে হিরো আলমের নির্বাচনী কেন্দ্র পরিদর্শন কার্যক্রমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
হিরো আলম বলেন, ‘খুব বেশি ভোটার উপস্থিত হবে না। ভোট নিয়ে মানুষের মনে ভয় আছে। ভোটারদের আগেকার সাহস, বিশ্বাস নেই। এই ভয় দূর করার জন্য নির্বাচনের সুষ্ঠু ভোট দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যদি ভোটে না দাঁড়াইতাম, যেটুকু ভোটার ঘর থেকে বের হইছে, তাও বের হইত না।’
এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া সদরের এরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিজের ভোট দেন আলোচিত এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর।
ভোট দিয়ে হিরো আলম বলেন, ‘সুষ্ঠভাবে ভোট হলে আমি দুই আসনেই বিপুল ভোটে জয়লাভ করব। এখন পর্যন্ত সব পরিবেশ ভালো আছে, তবে সদরের এক কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। ভোটারদের কাছে অনুরোধ সবাই এসে ভোট দেবেন।’
চাকলমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ভোটার উপস্থিতি খুবই কম। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৫৫৯। দুপুর ২টা ৫৫ পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন ৫৫৪ জন।’
বগুড়ায় উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোট চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
এ দুই আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হিরো আলম। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া সদরের এরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।
নির্বাচন উপলক্ষে দুই আসনে তিনজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৩৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছেন। পাশাপাশি ১৪ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ১৭ টহল দল মোতায়ন আছে। এ ছাড়াও ভোটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সাড়ে ৪ হাজার নিরাপত্তাকর্মী কাজ করছেন।