বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শরীয়তপুরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৬

  • প্রতিনিধি, শরীয়তপুর   
  • ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৬:০৯

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হারুন অর রশিদ বলেন, ‘সকালে কলেজে একাদশ শ্রেণীর অরিয়েন্টশন ক্লাস চলাকালে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ সমর্থিত ছাত্ররা মিছিল বের করে। পরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। প্রথম দিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অন্য একটি ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে সংঘর্ষের কথা বললেও মূলত নিজের মধ্যেই সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হলে তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’

শরীয়তপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে ছয় জন ছাত্র আহত হয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহাসিন মাদবর ও যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুজ্জামানের সমর্থকদের মাঝে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পালং মডেল থানা পুলিশ কলেজ ক্যাম্পাসে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে সংঘর্ষে ব্যবহৃত একটি চাইনিজ কুড়াল ও চাপাতি উদ্ধার করে পুলিশ।

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, বুধবার একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ক্লাশ চলাকালে ক্যাম্পাসে মহরা দিচ্ছিল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। দুপুর ১২টার দিকে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। উভয় পক্ষই চাইনিজ কুরাল, রামদা, চাপাতি ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। কলেজ মাঠে চলমান একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রাজন আকন, হাসিবুর রহমান, স্বরন, স্নাতক পাস কোর্সের শিক্ষার্থী কাজী সুজন দ্বাদশ শ্রেণীর মিনহাজ আহত হয়েছেন। তারা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানায়, গত বছর মে মাসে ছাত্রলীগের নেতারা এক শিক্ষককে মারধর করেন। এরপর জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেয়া হয়। এরপর নতুন কমিটিতে স্থান পেতে বিরোধে জড়ায় দুই পক্ষ। একটি পক্ষকে নেতৃত্ব দেন জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহসিন মাদবর, আরেক পক্ষকে নেতৃত্ব দেন যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুজ্জামান।

জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহাসিন মাদবর বলেন, ‘ছাত্রদলের সঙ্গে কিছু বহিরাগত কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের প্রতিহত করেছে। এখানে ছাত্রলীগের কোনো অভ্যন্তরীন কোন্দল নেই।’

ছাত্রদলের কারা কলেজে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান মহাসিন মাদবর।

জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুজ্জামানও একই কথা বলে নিজেদের কোনো কোন্দল নেই বলে দাবি করেন।

ওসি আকতার হোসেন বলেন, ‘কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় ছাত্রলীগের দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কিছু ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হারুন অর রশিদ বলেন, ‘সকালে কলেজে একাদশ শ্রেণীর অরিয়েন্টশন ক্লাস চলাকালে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ সমর্থিত ছাত্ররা মিছিল বের করে। পরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। প্রথম দিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অন্য একটি ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে সংঘর্ষের কথা বললেও মূলত নিজের মধ্যেই সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হলে তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’

এ বিভাগের আরো খবর