বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বগুড়ায় ভোটারের অপেক্ষায় অলস সময় পার

  • প্রতিনিধি, বগুড়া   
  • ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৪:১৫

সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বগুড়া জিলা স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রে হঠাৎ দুই-একজন ভোটার আসছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ বেশি। এই কেন্দ্রে ভোটার ২ হাজার ৭২। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সেখানে ভোট দিয়েছেন ৩১ জন।

বিএনপির ছেড়ে দেয়া বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম।

বুধবার সকাল থেকে কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা অলস সময় পার করছেন।

এর মধ্যেই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অনেকে অভিযোগ করেছেন, ভোটকেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্টদের জোর করে তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। যদিও নৌকার প্রার্থী বলছেন, বগুড়া-৬ আসনে নির্বিঘ্নে ভোট হচ্ছে।

সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বগুড়া জিলা স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রে হঠাৎ দুই-একজন ভোটার আসছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ বেশি। এই কেন্দ্রে ভোটার ২ হাজার ৭২। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সেখানে ভোট দিয়েছেন ৩১ জন।

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার কার্তিক চন্দ্র দেবনাথ জানান, শীতের সকাল হওয়ার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম। হয়তো দুপুরের দিকে ভোটার বাড়বে।

শহরের চকসুত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার ৩ হাজার ১০৭। এর মধ্যে সকাল সোয়া ১০টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৪৬টি।

সদরের সবগ্রাম কুদরতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার ৩ হাজার ৯৭২। এর মধ্যে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়ে ৩০০টি।

বগুড়া-৪ আসনের কহুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটার ২ হাজার ৩৪৮। এর মধ্যে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন ৭০ জন। অর্থাৎ ভোট দিয়েছেন ২ দশমিক ৯৮ শতাংশ ভোটার।

বগুড়া সদরের জুবিলি ইনস্টিটিউশন পুরুষ কেন্দ্রে ভোটার ৩ হাজার ৪৮৬। এর মধ্যে আধা ঘণ্টায় ভোট দেন ৯৯ জন। নারী কেন্দ্রের ৩ হাজার ৬৫৪ ভোটারের মধ্যে সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোট দেন ১২০ জন।

বগুড়ার জুবলি ইনস্টিটিউশনে নারী ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আবু হেনা মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘সকাল থেকে কোনো প্রকার বাধা বিঘ্ন ছাড়াই এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটার উপস্থিতিও গড়ে ভালো রয়েছে। দিন শেষে ভালো ভোট উপহার দেওয়া যাবে।’

এ কেন্দ্রের ফটকের ভেতরে ও বাহিরে ১৫ থেকে ২০ জন নেতা-কর্মী নিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চাইছিলেন বগুড়ার যুবলীগের বহিষ্কৃত আলোচিত নেতা মতিন সরকার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এই নেতা বলেন, ‘আমরা কারও কাছ থেকে ভোট চাচ্ছি না। আমাদের নেতা-কর্মীরা ভোটাদের বুথ চিনিয়ে দিচ্ছে।’

কেন্দ্র দখলের বিষয়ে অভিযোগ করেন বগুড়া-৬ আসনের ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মান্নান।

তিনি বলেন, শুধু জুবিলি ইনস্টিটিউশন নয়, বগুড়া সদর আসনের ৭৮টি কেন্দ্র যুবলীগ দখল করেছে।

আবদুল মান্নান আরও বলেন, ‘আমার প্রার্থীদের বলে দিছি সব ভোট বস্তায় করে নৌকার প্রার্থীকে দিয়ে দিতে।’

বগুড়া-৬ আসনে আপেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি মাসুদার রহমানও অভিযোগ করেছেন ভোট কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়ার।

বগুড়া-৬ (সদর) আসনে সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হয়েছে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সকালে বগুড়া শহরের হাসনাজাহান উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট দিয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাগেবুল আহসান রিপু।

তিনি বলেন, ‘নির্বিঘ্নে ভোট হচ্ছে কোনো সমস্যা ছাড়াই। ভোটারদের মাঝে কোনো ভীতি নেই। সব দলের প্রার্থীর এজেন্ট এখানে রয়েছে।’

বগুড়া-৬ এবং ৪ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘জুবলি ভোট কেন্দ্রের বিষয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল, কিন্তু ওখানে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে কাউকে পায়নি, তবে বাহিরে কিছু লোকজনের জটলা ছিল। সেগুলোও আর নেই। আর দুই আসনের কোথাও এমন পরিস্থিতি হলে আমরা তৎপর আছি; ব্যবস্থা নেব।’

নির্বাচন উপলক্ষে দুই আসনে ৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৩৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছেন। পাশাপাশি ১৪ প্লাটুন বিজিবি ও র‍্যাবের ১৭ টহল দল মোতায়েন আছে। এ ছাড়াও ভোটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সাড়ে ৪ হাজার নিরাপত্তাকর্মী কাজ করছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি ভোটকেন্দ্রে গুরুত্ব বিবেচনায় নিরাপত্তার জন্য তিনজন পুলিশ সদস্য ছাড়াও এপিবিএন, আনসার ভিডিপিসহ ১৭ নিরাপত্তকর্মী দায়িত্বে আছেন। ভোটকেন্দ্রের বাইরে ও নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স, বিজিবি ও র‍্যাব সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

বগুড়া-৪ আসনের ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯ জন। এ আসনে আওয়ামী লীগ ১৪ দলীয় জোট থেকে জাসদ প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছে। এর বাইরে পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন। তাদের মধ্যে কুড়াল প্রতীকে নির্বাচন করছেন সাবেক বিএনপি নেতা কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল। আর ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছেন সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মো. মোশফিকুর রহমান কাজল।

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে ভোটার ৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১১২টি। আর ভোটকক্ষের সংখ্যা ৭৭৭টি। এর মধ্যে অস্থায়ী কক্ষ আছে ৪২টি।

বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী ১১ জন। পাঁচজন আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এদের মধ্যে ট্রাক প্রতীকের আব্দুল মান্নান আকন্দ সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি এই আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে পরিচিত।

উপনির্বাচনে বগুড়ার দুই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। ময়দানের পাশাপাশি ভার্চুয়াল জগতের প্রচার-প্রচারণায় ব্যাপক সাড়া দেখিয়েছেন এ প্রার্থী।

বগুড়া-৬ (সদর) আসনে ভোটার রয়েছে ৪ লাখ ১০ হাজার ৭৪৩। ভোটকেন্দ্র ১৪৩টি ও কক্ষ ১ হাজার ১৭টি।

গত বছরের ১০ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর গোলাপবাগে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে বিএনপির ছয় এমপির পদত্যাগের ঘোষণা আসে। তাদের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে খালি হওয়া আসনগুলোতে আজ উপনির্বাচন হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর