বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফের আন্দোলনে চবি চারুকলার শিক্ষার্থীরা

  • প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়    
  • ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ ১০:৫২

চবির চারুকলার স্নাতকোত্তর বর্ষের শিক্ষার্থী মো. শহীদ বলেন, ‘আমরা আবার অবরোধ কর্মসূচিতে ফিরেছি। আমাদের মূল দাবি চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর, তবে স্থানান্তর প্রক্রিয়া নিয়ে গত সাত দিনে আমরা কিছুই দেখিনি।’

বেঁধে দেয়া সাত দিনেও শর্ত পূরণ না হওয়ায় ফের আন্দোলনে নেমেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

ইনস্টিটিউটের মূল গেইটে তালা দিয়ে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। তাদের অভিযোগ, যেসব শর্ত তারা দিয়েছেন তার কোনোটিই পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়নি।

আন্দোলনরত চবি চারুকলার স্নাতকোত্তর বর্ষের শিক্ষার্থী মো. শহীদ বলেন, ‘আমরা আবার অবরোধ কর্মসূচিতে ফিরে গেছি। আমাদের মূল দাবি চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর, তবে স্থানান্তর প্রক্রিয়া নিয়ে গত সাত দিনে আমরা কিছুই দেখিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান দাবির পাশাপাশি কিছু সুযোগ-সুবিধার কথা আমরা বলেছিলাম। সেগুলোর কিছু পূরণ হয়নি। মেয়েদের আবাসন, ক্যান্টিন ও শৌচাগারের কিছুই হয়নি। শুধু সিটি করপোরেশন পরিষ্কার কর্মসূচি চালিয়ে গেছে। ৯১ দিন চলছে, আর কয়দিন আমরা অপেক্ষা করব। মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী এসেছেন, কিন্তু কোনো লিখিত প্রতিবেদন দেয়নি। স্থানান্তর নিয়ে জেলা প্রশাসক ঊর্ধ্বতন মহলে চিঠি দিয়েছেন কি না সেটিও আমরা জানি না।’

সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ ইয়াকুব বলেন, ‘আন্দোলন প্রত্যাহারের পর থেকেই আমাদের প্রকৌশলী দপ্তরের লোক সেখানে গেছে। পরদিন মন্ত্রণালয় থেকেও গেছে। তারা বলেছে, এটা সংস্কার করে ক্লাস করা যাবে। ওইখানে যে ভবনটি আছে সেটি খালি করার ও মেয়েদের আবাসন ব্যবস্থা করার কথা ছিল। কিন্ত শিক্ষার্থীরা চাবি রেখে দিয়ে কাজ করতে দেয় নাই। স্থানান্তরের বিষয়ে জেলা প্রশাসন কাজ করবে বলেছিল, আমাদের কাজ আমরা ঠিকঠাক করেছি। আমরা তাদের জন্য বাসও দিয়েছি।’

কাজে বাধা দেয়ার বিষয়ে শিক্ষার্থী মো. শহীদ বলেন, ‘এই অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। আমরা এইরকম কাউকে কাজ করতে দেখি নাই। উল্টো একজন শিক্ষক, কর্মচারী পাঠিয়ে আইপিএস ও ব্যাটারি খুলে নিতে চেয়েছিলেন। এটা শিক্ষার্থীরা দেয় নাই ৷ এখন এটাকে কি কাজে বাধা দেয়া বলা হচ্ছে।’

এর আগে ২০২২ সালের ২ নভেম্বর থেকে ২২ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি ও ক্লাস বর্জন শুরু করেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। প্রশাসন দাবি মানতে ইতিবাচক সাড়া দিলেও পরে ২২ দফা দাবি হঠাৎ মূল ক্যাম্পাসে ফেরার এক দফা দাবিতে রূপ নেয়।

শিক্ষার্থীদের বক্তব্য, মূল ক্যাম্পাস ছাড়া তাদের এই ২২ দফা দাবির সবগুলো পূরণ করা সম্ভব নয়। এর বাইরে ১২ বছর ধরে দৃশ্যমান কোনো সংস্কার কিংবা অগ্রগতি তারা দেখেননি। তাই মূল ক্যাম্পাস বিচ্ছিন্ন তারা আর থাকতে চান না। এক দাবিতেই গত ৮২ দিন ধরে তারা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যান। সর্বশেষ আন্দোলনের বিষয়ে শনিবার শিক্ষার্থীদের সাথে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী।

এ বিভাগের আরো খবর