বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দখলমুক্ত করে শান নদী খনন, হাজার কৃষকের মুখে হাসি

  • প্রতিনিধি, রংপুর    
  • ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ ১০:১৩

বিএমডিএর পীরগঞ্জ জোনের সহকারী প্রকৌশলী জামিনুর রহমান জানান, পীরগঞ্জ উপজেলার শান নদী মরা নদীতে রূপ নিয়েছিল। এতে ৩টি ইউনিয়নের কয়েকটি বিলে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো।

রংপুরের পীরগঞ্জের শানেরহাটের শান নদী খননে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তি পাচ্ছেন তিন ইউনিয়নের কয়েক হাজার কৃষক। এতে খরা-বন্যায় কৃষিতে বড় সুবিধা পাবেন তারা।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) জানায়, প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের আওতায় গত বছর ৩ কিলোমিটার এবং চলতি বছর আড়াই কিলোমিটার নদী দখলমুক্ত করে খনন করেছে বিএমডিএ। এর ফলে বন্যা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন হবে শতভাগ। জলাবদ্ধতা না থাকায় কৃষিতে বেশি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন কৃষকেরা।

নদীতে গিয়ে দেখা যায়, শান নদী দখলমুক্ত করে খনন করায় নদীর তলদেশে পানি জমে আছে। নদীর দুই পাড়ে মাটি দিয়ে পাড় বাঁধা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার প্রবাহমান শান নদীতে দখলদাররা অবৈধভাবে মাটি ভরাট করেছিল। এ কারণে শান নদী মরা নদীতে রূপ নেয়। বর্ষা মৌসুমে স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় শানেরহাট, পাঁচগাছি এবং মিঠিপুর ইউনিয়নের ২০টিরও বেশি গ্রামের মানুষ কৃষি চাষাবাদ করতে পারতো না। ধান এবং সবজি প্রতিবছর পানির নিচে তলিয়ে থাকতো। ফসলের উৎপাদন না থাকায় দিনদিন কর্মহীন অবস্থায় অনেকেই কর্মের সন্ধানে অন্যত্র ছুটে বেড়াতেন। এবার সেই দুঃখ থেকে রক্ষা পেয়েছেন তারা।

পার্বতীপুর গ্রামের কৃষক রিয়াজুল ইসলাম জানান, শান নদী ভরাট হওয়ার কারণে পানি জমে থাকতো। অল্পবৃষ্টিতে পানি উপচে পড়ে আশপাশ তলিয়ে যেত। এবার সেটা হয়নি। খননের ফলে এলাকার কৃষকেরা আগের মতো কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদন করতে পারছেন।

সুলতান মিয়া জানান, এক সময়ের মরা শান নদী পুনঃখননের ফলে নদী যেমন তার প্রাণ ফিরে পেয়েছে, তেমনি কৃষকদের হতাশাও দূর হয়ে গেছে।

মেহেদুল ইসলাম জানান, তিন ইউনিয়নের হাজার হাজার কৃষকের আবাদি জমি পানির নিচে তলিয়ে থাকতো। আবাদ মৌসুমে নিচু জমিতে ফসলের চাষ করে কৃষকরা কোনো ফসল ঘরে তুলতে পারতেন না। এবার আর সেটা হবে না।

পাঁচগাছি ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া বলেন, ‘শানেরহাট এলাকার নদী খননের কাজ শেষ হয়েছে, এই এলাকার কৃষকেরা মনের আনন্দে চাষাবাদ করছে। আমাদের ইউনিয়নের নদীটির খনন কাজ শেষ করা হলে কৃষকদের দুর্ভোগ দূর হবে।’

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) পীরগঞ্জ জোনের সহকারী প্রকৌশলী জামিনুর রহমান জানান, পীরগঞ্জ উপজেলার শান নদী মরা নদীর রূপ নিয়েছিল। এতে ৩টি ইউনিয়নের কয়েকটি বিলে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো। এই এলাকার কৃষকের দুরবস্থা দেখে বিএমডিএ নদী খননের কাজ হাতে নেয়। ইতোমধ্যে প্রায় ৬ কিলোমিটার নদীর খনন কাজ শেষ হয়েছে। আরও কাজ হবে।

এ বিভাগের আরো খবর