বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুদকের মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তার ২৬ বছর কারাদণ্ড 

  • প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম    
  • ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৯:০৯

দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক জানান, তাদের সাজা বেশ কয়েকটি ধারায় দেয়া হয়েছে। তবে এর মধ্যে কয়েকটি সাজা এক সঙ্গে কার্যকর হবে।

চট্টগ্রামে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বেসরকারি ইস্টার্ন ব্যাংকের সাবেক এক কর্মকর্তাকে ২৬ বছরের কারাদণ্ড এবং এক ব্যবসায়ীকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আব্দুল মজিদ এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত মো. ইফতেখারুল কবির ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের ও আর নিজাম রোড শাখায় প্রায়োরিটি ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে তিনি বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত। দণ্ডপ্রাপ্ত আরেকজন হলেন পাহাড়তলী এলাকার নিশাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মাহমুদুল হাসান।

দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক জানান, মো. ইফতেখারুল কবিরকে ২৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই রায়ে তাকে ১ কোটি ৪ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। দণ্ডের অর্থ অনাদায়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

রায়ে একই মামলার অন্য আসামি ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসানকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৭৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। দণ্ডের অর্থ অনাদায়ে আরও ১ বছর ৪ মাস সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

তিনি আরও জানান, মো. ইফতেখারুল কবির ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের ও আর নিজাম রোড শাখায় প্রায়োরিটি ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন ২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে গ্রাহকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেন। এই সুসম্পর্কে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। তেমনই এক ভুক্তভোগী গ্রাহক রুপন কিশোর বড়ুয়া।

২০১৯ সালের মার্চে রুপন কিশোর বড়ুয়াকে ইস্টার্ন ব্যাংকে ৫০ লাখ টাকার স্থায়ী আমানত খোলার কথা বলে কৌশলে টাকাগুলো আত্মসাৎ করেন ইফতেখারুল। তাকে এই কাজে সহযোগিতা করেন ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান।

এতে বিষয়টি বুঝতে পেরে ভুক্তভোগী গ্রাহক দুদকে অভিযোগ দিলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৯ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরে একই বছর বিষয়টি তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম প্রতিবেদন জমা দেন।

মাহমুদুল হক জানান, এই মামলায় আসামিদের বিচার শুরুর পর ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। বিচারপ্রক্রিয়া শেষে সোমবার রায় ঘোষণা করে আদালত।

তিনি আরও জানান, তাদের সাজাগুলো বেশ কয়েকটি ধারায় দেয়া হয়েছে। তবে এর মধ্যে কয়েকটি সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে। এতে মো. ইফতেখারুল কবির সর্বোচ্চ ১৩ বছর ও মাহমুদুল হাসান ৫ বছর কারাভোগ করবেন।

এ বিভাগের আরো খবর