বরিশালে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হামলায় আহত হয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এক কর্মকর্তাসহ দুজন।
মুলাদী উপজেলার মীরগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার সিআইডির এসআই রুহুল আমিন নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, মুলাদীর মনির হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে সন্দেহভাজন আসামি আব্বাস হাওলাদারকে গ্রেপ্তারের জন্য তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে মীরগঞ্জ ফেরিঘাটের পন্টুনে অবস্থান নেন তারা। এ সময় আসামির স্বজনরা সিআইডি পুলিশের জ্যাকেট পরা অবস্থায় দেখে তাদের ঘেরাও করেন। তখন ধস্তাধস্তিতে তিনি ও কনস্টেবল আব্দুল হাকিম আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দেয়া হয়নি জানিয়ে এসআই রুহুল আমিন বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুলাদী উপজেলার চর কমিশনার এলাকার রব হাওলাদারের ছেলে আব্বাস হাওলাদারকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় সিআইডি পুলিশ। এ সময় আব্বাসের ভাইসহ তার ৬/৭ জন বন্ধু এসে সিআইডি পুলিশকে বাধা দেয়। তাদের সঙ্গে সিআইডি পুলিশের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তি হয়। এ সুযোগে আসামি আব্বাস পালিয়ে গেছে।
ধস্তাধস্তিতে সিআইডি পুলিশের এসআই রুহুলের হাতে জখম হয়েছে, এতে কনস্টেবলও আহত হয়। পুলিশের পক্ষ হয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে আসামির ভাই ও বন্ধুরা পালিয়ে যায়।
গত বছরের ২৪ মে সকালে মুলাদীর চর কমিশনার গ্রামের ঘেরের পাশে দুই সন্তানের জনক মনির হাওলাদারের চক্ষু উৎপাটন ও গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মনিরের ছোট ভাই পারভেজ হাওলাদার ১১ জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। গত ৪ জুলাই মামলা তদন্তের জন্য সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।