বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকার বায়ু দূষণ রোধে নির্দেশনার বাস্তবায়ন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ ২১:৫৪

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘ঢাকার বায়ু দূষণ নিয়ে আমাদের আগের একটা রিট ছিল। সেখানে আদালতের ৯ দফা নির্দেশনা ছিল। এরপর গত বছর কিছু ব্যবস্থা নিলেও এরপর যে অবস্থা সেটাই রয়ে গেছে।’

ঢাকা শহরের বায়ু দূষণ রোধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন চেয়ে ফের হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।

সোমবার বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন করা হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন আবেদনকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

তিনি বলেন, ‘আবেদনে ঢাকার বায়ু দূষণ রোধে উচ্চ আদালতের যে ৯ দফা নির্দেশনা রয়েছে তা বাস্তবায়নের নির্দেশনা চেয়েছি। আবেদনটি শুনানির জন্য মঙ্গলবারের কার্য তালিকায় রয়েছে।

‘বায়ু দূষণ নিয়ে আমাদের আগের একটা রিট ছিল। সেখানে আদালতের ৯ দফা নির্দেশনা ছিল। এরপর গত বছর কিছু ব্যবস্থা নিলেও এরপর যে অবস্থা সেটাই রয়ে গেছে। যে কারণে আবারও আমরা আদালতে আবেদন করেছি, যাতে আদালতের দেয়া নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রতিপালন করা হয়।

বায়ু দূষণরোধে ৯ দফা নির্দেশনা দিয়ে ২০২০ সালে রায় দিয়েছে উচ্চ আদালত।

ওই নির্দেশনায় বলা হয়-

১. ঢাকা শহরের মধ্যে বালি বা মাটি বহনকারী ট্রাকগুলোকে ঢেকে পরিবহন করতে হবে।

২. যে সব জায়গায় নির্মাণ কাজ চলছে সেসব জায়গার কন্ট্রাক্টররা তা ঢেকে রাখবে।

৩. এছাড়া ঢাকার সড়কগুলোতে পানি ছিটানোর যে নির্দেশনা ছিল, সে অনুযায়ী যেসব জায়গায় এখনো পানি ছিটানো হচ্ছে না, সেসব এলাকায় পানি ছিটানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

৪. সড়কের মেগা প্রজেক্টের নির্মাণ কাজ এবং কার্পেটিং যেসব কাজ চলছে, সেসব কাজ যেন আইন-কানুন এবং চুক্তির টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন মেনে করা হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

৫. যেসব গাড়ি কালো ধোঁয়া ছাড়ে সেগুলো জব্দ করতে হবে।

৬. সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ির ইকনোমিক লাইফ নির্ধারণ করতে হবে এবং যেসব গাড়ি পুরনো হয়ে গেছে সেগুলো চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।

৭. যেসব ইটভাটা লাইসেন্সবিহীনভাবে চলছে, সেগুলোর মধ্যে যেগুলো এখনো বন্ধ করা হয়নি সেগুলো বন্ধ করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

৮.পরিবেশ অধিদফতরের অনুমতি ছাড়া টায়ার পোড়ানো এবং ব্যাটারি রিসাইক্লিং বন্ধ করতে হবে।

৯. মার্কেট ও দোকানের বর্জ্য প্যাকেট করে রাখতে হবে এবং তা মার্কেট ও দোকান বন্ধের পর সিটি করপোরেশনকে ওই বর্জ্য অপসারণ করতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর