বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু খুলবে সময়ের আগেই’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৯:৩৬

রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর মধ্যে ১ দশমিক ১৫ কিলোমিটার ইতোমধ্যে দৃশ্যমান। পূর্ব প্রান্তে কাজের অগ্রগতি অনেক ভালো। পশ্চিম প্রান্তে অগ্রগতি কিছুটা কম। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজের গতি বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে পুরো প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের আগেই খুলে যাবে আশা করছি।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতু নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হবে। যে গতিতে কাজ চলছে তাতে ২০২৪ সালের আগস্টের নির্ধারিত সময়ের আগেই এটি ট্রেন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া সম্ভব হবে।

রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর মধ্যে ১ দশমিক ১৫ কিলোমিটার ইতোমধ্যে দৃশ্যমান। ১২টি পিলারের ওপর ১১টি স্প্যান বসে গেছে। পূর্ব প্রান্তের অগ্রগতি অনেক ভালো।

‘পশ্চিম প্রান্তে অগ্রগতি কিছুটা কম। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজের গতি বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে পুরো প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের আগেই খুলে যাবে বলে আশা করছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সেতুতে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন থাকছে। এখানে ব্রডগেজে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলবে এবং সেতু পার হতে সময় লাগবে ৫ মিনিট। বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে একটি ট্রেন পার হতে এখন প্রায় ৪০ মিনিট সময় লাগছে। সে হিসাবে অনেকটা সময় বেঁচে যাবে।

‘এই সেতুর মাধ্যমে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের যোগাযোগ স্থাপিত হবে। সে সুবাদে ভারত, নেপাল, ভুটানের সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ বাড়বে। অধিকসংখ্যক ট্রেন চালানো সম্ভব হওয়ায় অভ্যন্তরীণ রুটে ট্রেন ও বগি সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব হবে। আন্তঃদেশীয় ট্রেনও অগ্রাধিকারে চালানো যাবে। ভারত থেকে সরাসরি মালবাহী ট্রেন চালানো সম্ভব হবে।

জাইকার অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মিত হচ্ছে। এটির মোট প্রকল্প ব্যয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। সবশেষ এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত প্রকল্পের ভৌত কাঠামো নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ।

রেলপথ মন্ত্রীর এই পরিদর্শনের সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত পরিচালক (অবকাঠামো) মো. শহিদুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর