‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবহার হলে সবার জন্যই ভালো হয়। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শতভাগ ইচ্ছা রয়েছে। তবে এখানে অর্থনীতি একটি বড় বিষয়। এ নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে এখনও কোনো আলোচনা হয়নি।’
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা এসব কথা বলেন।
ইভিএম কেনা বা ব্যবহারের জন্য প্রকল্প পাস করার বিষয় থাকলেও সিসি ক্যামেরার জন্য এমন কিছু লাগে না বলে মনে করেন রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেন, ‘ওই রকম বিষয় নয়, যদি প্রজেক্ট পাস করতে না হয়...। নির্বাচনী বাজেটের ব্যাপার। সিসি ক্যামেরা বাদ দিয়েছি এমনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আবার আমরা আনবই- এমন সিদ্ধান্তও হয়নি।’
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন হতে আর বছরখানেক আছে উল্লেখ করে ইসি রাশেদা বলেন, ‘এই এক বছরের মধ্যে দেশের অর্থনীতির পরিস্থিতি কোনদিকে যায় সেটাও আমরা বুঝতে পারব। সব মিলিয়ে এটা সিদ্ধান্তের প্রশ্ন।
‘সিসি ক্যামেরা দিয়ে ভোট করব কি করব না এ বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত হয়নি। আইনে কোথাও বলা নেই যে ভোটে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার করতেই হবে। তবে কমিশন চাইলেই তো আর নিজে নিজে তা করতে পারবে না। সবকিছু মিলিয়ে পরিবেশ পরিস্থিতি যদি পারমিট করে তবে আমরা অবশ্যই করব। আমরা পরীক্ষামূলকভাবে (ব্যবহার) করেছি।’
রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘ভোটে সিসি ক্যামেরার একটা ইফেক্টিভ রেজাল্ট আছে। তবে ব্যবহার করতে চাইলে একটা বড় বাজেট লাগবে। তিন শ’ আসনে এর ব্যবহার করতে চাইলে একটা ম্যানেজমেন্ট বা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সেটা কীভাবে করা যায়, আদৌ সম্ভব কি না, করলে কতটুকু করা যায়- এসব বিষয় নিয়ে আমরা এক ধরনের আলোচনা করে আসছি।’
নির্বাচনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে কমিশন সমন্বয় করছে বলেও জানান রাশেদা সুলতানা।