ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিডেটের ১৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানসহ নয় জনের বিরুদ্ধে করা মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আগামী ৪ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মামলাটির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিলের জন্য সোমবার দিন ধার্য ছিল। এদিন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামান শুনানি শেষে দুর্নীতি দমন কমিশনকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ৪ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এর আগে গত বছরের ১০ নভেম্বর ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির সম্পাদক মো. শাহাব উদ্দিন সরকার এ মামলাটি দায়ের করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিলের জন্য ৩০ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছিল।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই থেকে ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ৯৯ কোটি ৬৫ লাখ ১৯ হাজার ১৭৩ টাকা ঢাকা ওয়াসা থেকে রাজস্ব আদায় কাজ বাবদ পায়। ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ অর্থবছরে একই কাজ বাবদ সমিতি আয় করে ৩৪ কোটি ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯০ টাকা। এর মধ্যে ২০১৭ থেকে ২০১৮ অর্থবছরে সমিতির হিসাবে জমা হয় ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৩ টাকা।
অবশিষ্ট ১৩২ কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৬০ টাকা ৬টি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে আসামি তাকসিম এ খানের প্রত্যক্ষ মদদে ও নির্দেশে অপর আসামিরা টাকাগুলো উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে।
আত্মসাতের বিষয়টি সমবায় অধিদপ্তরের অডিট রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। সমিতির গাড়িসহ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সমিতির হেফাজত থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকা সমমূল্যের সম্পদ চুরির অভিযোগও আনা হয়।
ঢাকা ওয়াসার এমডি ছাড়াও মামলার অপর আসামিরা হলেন, সংস্থাটির প্রকৌশলী শারমিন হক আমীর, সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক মিঞা মো. মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান, রাজস্ব পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন, প্রকৌশলী মো. বদরুল আলম, জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম শ্যামল বিশ্বাস, উপসচিব শেখ এনায়েত উল্লাহ ও উপ প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. সালেকুর রহমান। এছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও অনেককেই এ মামলায় আসামি করা হয়।