ডান্ডাবেড়ি পরানোর ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রণয়নের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
ডান্ডাবেড়ি পরানোয় গাজীপুরের আলী আজম ও শরীয়তপুরের সেলিম রেজাকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতের রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
কারাগারে থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের প্যারোলে মুক্তির পর ডান্ডাবেড়ি পড়ানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৪ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রোকনুজ্জামান সুজা।
আদেশের বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি দৈনিক পত্রিকায় প্যারোলে মুক্তি দেয়ার পর ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে জানাজায় নেয়ার প্রকাশ হয়। এটি অসাংবিধানিক। বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে আমরা রিট করি। আদালত শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন।
‘রুলে ডান্ডাবেড়ি পরানোয় নীতিমালা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, একই সঙ্গে তাদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।’