কখনও ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, কখনও ‘অস্বাস্থ্যকর’, আবার কখনও ‘বিপজ্জনক’। বাতাসের মানের তালিকায় এমন তিন ক্যাটাগরিতেই ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।
তালিকায় থাকা শহরগুলোর মধ্যে শীর্ষ পাঁচে তো বটেই, শীর্ষস্থান থেকেই নড়চড় কম বাংলাদেশের সবচেয়ে জনবহুল নগরীর। দূষিত বাতাসে প্রতিযোগীদের তুলনায় যেন অদম্য হয়ে উঠেছে ঢাকা।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানি আইকিউএয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে সোমবার বেলা ১১টা ৪ মিনিটে দূষিত বাতাসে ১০০টি শহরের মধ্যে প্রথম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশের রাজধানী।
র্যাঙ্কিংয়ে দূষিত বাতাসের দিক থেকে ওই সময়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল ভিয়েতনামের হ্যানয় ও চীনের উহান শহর।
নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।
কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।
আইকিউএয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।
১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।
র্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।
সকালের নির্দিষ্ট ওই সময়ে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ২৮০। এর মানে হলো খুবই অস্বাস্থ্যকর বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয়েছে রাজধানীবাসীকে।
আগের দিন ১১টার দিকে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ২২২। সে তুলনায় সোমবার একই সময়ে বাতাসের মানের আরও অবনতি হয়েছে।
আইকিউএয়ার জানায়, রোববার বেলা ১১টার দিকে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ৩৫ দশমিক ৮ গুণ বেশি।