কক্সবাজার বিমানবন্দরের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাজের বিরুদ্ধে যাত্রী হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। পর্যটকদের লাগেজ বা মালামাল বেশি থাকলে কৌশলে চাঁদা দাবি করেন তিনি। না দিলে শুরু করেন তল্লাশির নামে হয়রানি, যা নিয়ে বিব্রত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এসআই তাজ।
২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর ছুটি না নিয়ে ৫ লাখ টাকাসহ গোপনে বাড়ি যাচ্ছিলেন কক্সবাজার কোর্ট পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রবিউল ইসলাম। ওইদিন বিমানবন্দরে স্ক্যানারে ওই টাকাসহ ধরা পড়েন তিনি। এরপর রবিউলের পুরো টাকাকে ৫০ হাজার দেখিয়ে বাকিটা আত্মসাত করেন বলে অভিযোগ ওঠে তাজের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিভাগীয় ব্যবস্থার জন্য সুপারিশ করেছে জেলা পুলিশ, কিন্তু এসআই তাজের বিরুদ্ধে কোনো বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যার ফলে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে যাচ্ছেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা জানান, তাজের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত অভিযোগ আসছে। যাত্রীদের নানাভাবে হয়রানি করছেন তিনি।
ভুক্তভোগী ঢাকাগামী যাত্রী সামিয়া ও তাসনিম জাহিদ দম্পতি জানান, যাবার পথে অতিরিক্ত লাগেজ থাকার অজুহাতে তাদেরকে বিমানবন্দরের গেটেই হয়রানি শুরু করেন এসআই তাজ। এক পর্যায়ে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেন তিনি।
জসিম মাহমুদ নামের আরেক যাত্রী জানান, টাকা না দেয়ায় প্রায়ই তাজের হয়রানির শিকার হতে হয় তার।
অভিযোগ উঠেছে শুধু পর্যটক নয়, স্থানীয় বাসিন্দা,রাজনৈতিক নেতারাও তাজের হয়রানির শিকার হচ্ছেন। কয়েকদফা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও কোনো সুরাহা আসেনি। এর আগে এসব ঘটনায় মুচলেকাও দিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এসআই তাজ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক ফজলে রাব্বী বলেন, ‘ আমি বিষয়টি শুনেছেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’