বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অ্যাপে পাঠদানের ব্যবস্থা করলেন ইউএনও

  •    
  • ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৩:২৯

ইউএনও সোহেল রানা জানান, ‘শিক্ষায়তন’ মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে স্কুলের সব কার্যক্রম করতে পারবেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

কুমিল্লার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য শিখন ব্যবস্থাপনা অ্যাপ তৈরি করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে উপজেলা প্রশাসন।

কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোহেল রানার উদ্ভাবিত মোবাইল অ্যাপ ‘শিক্ষায়তন’ ব্যবহার করে উপজেলা ও জেলার বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের শিখন ব্যবস্থাপনায় এনেছে অভাবনীয় পরিবর্তন। রুটিন থেকে শুরু করে লেসন প্ল্যান, শিক্ষা সহায়ক ডিজিটাল উপকরণসহ শিখন কার্যক্রমের পুরোটা এখন চলছে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে।

নতুন বছরের শুরুতে অ্যাপ ভিত্তিক শিখন শেখানো কার্যক্রম হাতের মুঠোয় পেয়ে খুশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নেও এ অ্যাপ হতে পারে দারুণ সহায়ক।

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্তমানে কুমিল্লার ৫টি স্কুলে বাস্তবায়নাধীন আছে সফটওয়্যারটি। স্কুল ৫টি হলো কুমিল্লার কালেক্টরেট স্কুল, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলাধীন শিদলাই আশরাফ স্কুল, ভগবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ওশান হাই স্কুল এবং সদর দক্ষিণ উপজেলার শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজ। মূলত এই প্ল্যাটফর্মে স্কুলের সব কার্যক্রম মোবাইল অ্যাপে করতে পারবেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

ইউএনও সোহেল রানা বলেন, ‘লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের ধারণাটি বেশ পুরনো। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ক্যানভাস, মুডল, স্কুলজি, ব্ল্যাকবোর্ড ইত্যাদি নানা ধরনের লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার আছে। এগুলো স্কুল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার থেকে কিছুটা ভিন্ন ধাচের। তবে নানা ধরনের সফটওয়্যার এর ডিজাইন বিশ্লেষণ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী ভিন্ন আঙ্গিকে সফটওয়্যারটি প্রস্তুত করা হয়েছে।

‘সফটওয়্যার প্রস্তুত ও স্কুলে বাস্তবায়নের এই উদ্যোগের প্রধান পৃষ্ঠপোষক কুমিল্লার সাবেক ও বর্তমান জেলা প্রশাসক। আমাদের প্রণীত ডিজাইনে সফটওয়্যারটি প্রস্তুত করেছে বিজনেস একসিলারেট লিমিটেড নামে এক কোম্পানি। প্রথমে আমরা কুমিল্লার সব স্কুলে এটি বাস্তবায়ন করতে চাই ও পরবর্তীতে সরকার বড় পরিসরে পুরো বাংলাদেশে এটি ছড়িয়ে দিতে পারে। শিক্ষার মানোন্নয়নে ও সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নেও এটি সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। তবে এটি বাস্তবায়নের অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ আছে যেগুলো মোকাবিলা করে সামনে এগুতে হবে।’

সাবেক জেলা প্রশাসক ও বর্তমানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব জনাব মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘আমি জেলা প্রশাসনে যোগ দেয়ার পর থেকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করে আসছি। কাজ করতে গিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাপনাকে যুগোপযোগী করে তোলার কথা মাথায় আসে। ব্রাহ্মণপাড়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল রানা শিক্ষাক্ষেত্রে লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আধুনিকায়নের কথা বললে আমরা সেই অভাব পূরণের লক্ষ্যে লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করি এবং পরবর্তীতে তা প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেই। সেখান থেকেই মূলত শিক্ষায়তনের যাত্রা শুরু।’

শিক্ষায়তনের টেকনিক্যাল বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা বিজনেস একসিলারেটের সিইও কামরুল হাসান সুমন বলেন, ‘এ ধরনের সফটওয়্যারের ব্যবহার দেশে নেই। দেশে প্রচলিত সফটওয়্যারগুলোতে ক্লাসরুমে কী পড়ানো হচ্ছে সে বিষয়টি সংযোগ করার অপশন কম। শিক্ষায়তনের মাধ্যমে অভিভাবক, শিক্ষার্থীরা জানতে পারবেন তার বাচ্চারা কী পড়ছে। যেগুলো আছে (যেমন টেন মিনিট স্কুল) তাদের অধিকাংশ কনটেন্ট নির্ভর সেবা দেয়। আমাদের এই সফটওয়্যার কনটেন্ট নির্ভর নয়।

‘জেলা প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠান থেকে এরকম সফটওয়্যার এর ডিজাইন অভাবনীয়। আমরা এই উদ্যোগের অংশীদার হতে পেরে গর্বিত এবং ভবিষ্যতে এটিকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই।’

উপজেলার ভগবান সরকারি স্কুলে শিক্ষায়তন বাস্তবায়ন করছেন বিজ্ঞান শিক্ষক মহিউদ্দিন পলাশ। তিনি জানান, শিক্ষায়তন এমন একটি সফটওয়্যার যেখানে এক কথায় শ্রেণি কার্যক্রমের সবকিছু রয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মোবাইলের মাধ্যমে উন্নতমানের শিক্ষা সেবা গ্রহণ করতে পারবে। অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষকদের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। বিশেষ করে তাদের টিচিং প্ল্যান সাজানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এ বিভাগের আরো খবর