পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য পণ্যবোঝাই রুশ জাহাজ ‘উরসা মেজর’ নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, তা কারও জন্য ভালো হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।
ওই ঘটনায় রূপপুর প্রকল্পের কাজ পেছাবে না বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল ‘উরসা মেজর’ নামে রাশিয়ার পতাকাবাহী একটি জাহাজের।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ নিশ্চিত হয় যে, রং ও নাম বদল করে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা রাশিয়ার একটি জাহাজ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে আসছে।
২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, ওই জাহাজটি আসলে ‘উরসা মেজর’ নয়, তাদের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ‘স্পার্টা থ্রি’। সেটি রং ও নাম পাল্টে পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে আসছে।
পরে বাংলাদেশ জাহাজটিকে বন্দরে ভিড়তে নিষেধ করে। যদিও জাহাজটিকে পণ্য খালাসের অনুমতি দিতে বাংলাদেশের ওপর চাপ তৈরি রাশিয়া, তবে এ বিষয়ে অনড় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ।
রুশ জাহাজ ফেরত নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়কে নিয়ে বোধ হয় নানাজন নানা কথা চালাচ্ছে। আমাদের সঙ্গে ওদের যে কনট্রাক্টটা (চুক্তি) সেটা হলো, যতক্ষণ পর্যন্ত না মাল রূপপুরের নদী বন্দরে পৌঁছাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক থাকে না।
‘আমরা তখনই কনসার্ন (উদ্বিগ্ন) হই, যখন আমাদের নদীবন্দরে এসে পৌঁছায়। তারপরও আমি বলব, যে অঘটনটা ঘটেছে, এটা কিন্তু কারও জন্যই ভালো নয়। এতদিন ধরে হাজার হাজার জাহাজ আসছে। কোনো সময় কোনো কথা উঠে নাই। তার মধ্যে একটা অঘটন ঘটেছে এবং আমরা তাদের বলে দিয়েছি, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।’
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, ‘ওরা টাইমলি কাজটা শেষ করবে। আমরা এখনও সেই পথেই আছি।
‘সুতরাং ওই দিকে ভয়ের কোনো কারণ নাই যে, অনেক দিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।’