বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আওয়ামী লীগ ১০ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে: আমীর খসরু

  • প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম   
  • ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ২০:৫৭

চট্টগ্রামে সমাবেশে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পাচারের টাকা দিয়ে দেশে দেশে ঘরবাড়ি করেছে। রিজার্ভ খালি। ডলার সংকটে দেশের মানুষের জন্য পণ্য আমদানি করতে পারছে না সরকার। আর সে জন্য দ্রব্যমূল্য এখন আকাশচুম্বী।’

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ১০ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘নতুন করে পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকার নোট ছাপানো হয়েছে। সব ব্যাংক খালি। রিজার্ভ খালি।’

বুধবার বিকালে চট্টগ্রামে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন, গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন ও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত এই সমাবেশের আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি।

আমির খসরু বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পাচারের টাকা দিয়ে দেশে দেশে ঘরবাড়ি করেছে। রিজার্ভ খালি। ডলার সংকটে দেশের মানুষের জন্য পণ্য আমদানি করতে পারছে না সরকার। যার জন্য দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী।

‘যে দলের নেতাকর্মীরা ভোট চুরি, ব্যাংক লুট, টেন্ডারবাজি আর জায়গা দখলে ব্যস্ত, তাদের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ত নেই। তারা ভিন্ন প্রক্রিয়ার নতুন রাজনীতি সৃষ্টি করেছে। এই রাজনীতি আওয়ামী মডেলের লুটপাটের। রাজনৈতিকভাবে তারা আজ সম্পূর্ণভাবে পরাজিত।’

তিনি বলেন, ‘বাকশাল হচ্ছে আরেকটি ভোট চুরির মেশিন। ১৯৭৫ সালের এ দিনে বাকশালের মাধ্যমে নির্বাচনে যাতে তাদের যেতে না হয় সেজন্য সব দল বন্ধ করে তারা একদল করেছিল। অর্থাৎ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে জনগণের কাছে যেতে তাদের কোন ইচ্ছা ছিল না। সাথে সাথে তারা আইনের শাসনকে নিজের হাতে নিয়ে ফেলেছিল। আইনের শাসনের অধিকার তারা কেড়ে নিয়েছিল।গণমাধ্যমের স্বাধীনতা তারা কেড়ে নিয়েছিল। আজকেও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নাই। সেদিনও গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরেছিল। সব পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল। চারটি সরকারি পত্রিকা রাখা হয়েছিল। গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জনগণকে সেদিন তারা লুটপাটে নেমেছিল বাকশালের নাম দিয়ে। ব্যাংক ডাকাতি করেছিল। তখন ছিলো গণ ডাকাতি। আর এখন চলছে ডিজিটাল ডাকাতি।’

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা আজ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। আপনাদের আশ্রয়স্থল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারি কিছু কর্মকর্তা আর দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীরা। তারা কি আপনাদের বাঁচাতে পারবে?’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি অংশ সংবিধানকে সুরক্ষা দেয়ার পরিবর্তে জনগণকে তার সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। তারা বিভিন্নভাবে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান করছে। তারা সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছে না।

‘চট্টগ্রামের একটি কর্মসূচি নিয়ে চারটি মামলা হয়েছে। শত শত নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। মামলা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির সিদ্ধান্ত হচ্ছে সাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। বিএনপি সে রাস্তায়ই চলছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বাধা উপেক্ষা করে আমাদের বিভাগীয় সভা সফল হয়েছে।’

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার, ভিপি হারুনুর রশীদ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক আলহাজ্ব সালাহ উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম বক্তব্য দেন।

এ বিভাগের আরো খবর