সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীসহ বিভাগীয় সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। সরকার বিরোধী অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের এটি পঞ্চম কর্মসূচি।
সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি এবং সরকারের দমন-পীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে, দলীয় নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে, বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বুধবার বিকেলে আয়োজিত সমাবেশ থেকে নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি ও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে এ সমাবেশ করে দলটি।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ইতিহাস হচ্ছে সন্ত্রাসের ইতিহাস। সন্ত্রাস কায়েম করে তারা ক্ষমতায় থাকতে চায়। আজ ৫০ বছর পরও চিৎকার করে বলতে হচ্ছে- গণতন্ত্র চাই, ভোটাধিকার চাই।’
ফখরুল বলেন, ‘আমরা যখনই কর্মসূচি দেই, একই সময়ে আওয়ামী লীগ একটা পাল্টা কর্মসূচি দেয়। তাদের পার্টি অফিসের সামনে এখনও সমাবেশ চলছে। তাদের মধ্যে এতো আস্থার অভাব আছে, এত ভয়- বিএনপি প্রোগ্রাম করলে না জানি কী হয়ে যায়। এই ভয়ে তারা পাল্টা কর্মসূচি দেয়।’
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন,
‘সময় শেষ। বসে থাকার সময় আর নেই।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দেশের মানুষ এই সরকারকে বলতে চায়- আপনারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছেন।
‘কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপির নাকি গণতন্ত্রের কথা বলার অধিকার নেই। অথচ আওয়ামী লীগই গণতন্ত্র হত্যা করেছে। সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে ৬০০ গুম, ১ হাজার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। সরকার শুধু চাপাবাজি করে।
‘যেখানে আওয়ামী লীগ সেখানে তারা গণতন্ত্র হত্যাকারী, যেখানে বিএনপি সেখানে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারকারী। সরকারকে বিদায় জানাতে হবে। নয়তো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে না।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘দেশের প্রতিটি মানুষ জানে এই অবৈধ সরকারের বৈশিষ্ট্য কী। তাদের চরিত্র হলো একনায়কতন্ত্র ও একদলীয় শাসন কায়েম করা। দেশের মানুষ এই একদলীয় ও একনায়কতান্ত্রিক শাসন আর চায় না।’