বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাথরের ডাস্ট খালাস, ২৫ লক্ষাধিক টাকার মাশুল কর্তৃপক্ষের

  • প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া   
  • ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ১১:১৬

কাস্টমস ডেপুটি কমিশনার আবু হানিফ মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, চূর্ণপাথর আমদানি করার অনুমতি না থাকায় ছাড়পত্র দেয়া হয়নি। তবে চার লেন প্রকল্পের হওয়ায় এনবিআর বিশেষ ক্ষমতায় শর্তসাপেক্ষ ৭৭০ টনের ছাড়পত্র দিয়েছে। বাকিগুলোর জন্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে এনবিআরে আবেদন করেছে।

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসা পাথরের ২৭০০ টন ডাস্ট খালাস হয়েছে।

সোমবার সকালে ৭৭০ টন খালাসের মাধ্যমে কার্যক্রমটি শুরু হয়। তবে দীর্ঘ দুই মাস ১০ দিন এই পাথরের ধুলা স্থলবন্দরের পড়ে থাকায় ২৫ লক্ষাধিক টাকার মাশুল গুণতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৩ নভেম্বর আখাউড়া স্থলবন্দরে প্রথমবারই আসে এ পাথরের ডাস্ট।

এ নাটকীয়তা শুরু সেদিন থেকেই। এই আমদানি করা পাথর কাজে লাগানো হতো আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক উন্নয়নের কাজে। বন্দরের সিএন্ডঅ্যাফ এজেন্ট ‘মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজ’ এসব পাথর ডাস্টের কাস্টমসের ছাড়পত্র নিতে গিয়েই বাঁধে ঝামেলা। তদন্ত কমিটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পাথরগুঁড়া আনার কথা থাকলেও তার বদলে পাথরের ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয় ছাড়পত্র।

তাতে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পাথর ডাস্টকে পাথরগুঁড়া হিসেবে আমদানি করায় ছাড়পত্র না পেয়ে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে মাশুল বাবদ প্রায় ৩৬ হাজার টাকা দিচ্ছে ভারতীয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। আমদানি হওয়া পাথরগুলি ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি প্রতি টন ১৩ ডলারে আমদানি করেছে। স্থলবন্দরের সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজ আমদানি করা পাথরের কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ের কাজ করছে। পাথরগুলোর আমদানি শুল্ক প্রায় ৬৯ শতাংশ।

এ ব্যপারে সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা যখন দুই মাস ১০ দিন আগে এলসির পুরো চালান ২৭০০ টন গুঁড়া পাথর আমদানি করি। আমদানির পর কাস্টমস থেকে আমাদেরকে জানানো হয় এ বন্দর দিয়ে এ পাথর আমদানির অনুমোদন নেই। এরপর থেকে কাস্টমসের নানান জটিলতায় গুঁড়া পাথরগুলো বন্দরে আটকে যায়। পরবর্তীতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এন বি আর) থেকে প্রথম চালানের ৭৭০ টন পাথর খালাসের অনুমোদন দেয়া হয়।’

আখাউড়া স্থলবন্দরের সুপারিন্টেন্ডেন্ট সামাউল ইসলাম জানান, ২৭০০ টন গুঁড়া পাথরের মধ্যে ৭৭০ টন খালাসের অনুমোদন পাওয়ায় স্থানীয় সি এন্ড এফ এজেন্ট সকাল থেকে খালাসের কার্যক্রম শুরু করেছে।

এ ব্যাপারে কাস্টমস ডেপুটি কমিশনার আবু হানিফ মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, চূর্ণপাথর আমদানি করার অনুমতি না থাকায় ছাড়পত্র দেয়া হয়নি। তবে চার লেন প্রকল্পের হওয়ায় এনবিআর বিশেষ ক্ষমতায় শর্তসাপেক্ষ ৭৭০ টনের ছাড়পত্র দিয়েছে। বাকিগুলোর জন্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে এনবিআরে আবেদন করেছে।

এ বিভাগের আরো খবর