বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন জানিয়ে তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবার রাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘কারাগারে রিজভীর রক্তবমি হচ্ছে। তিনি কিছু খেতে পারছেন না। কোনো অঘটন ঘটলে তার দায় এই সরকারকেই নিতে হবে।’
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘রুহুল কবির রিজভী দুদিন আগে কারাগারে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা জানতে পেরেছি, তিনি বর্তমানে কারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং মুখে কোনো খাবার খেতে পারছেন না। তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা জানিয়েছেন, কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তিনি সবশেষ তথ্য জানতে পারছেন না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘রিজভী আহমেদ আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজশাহীতে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। পরবর্তীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হলে তার শরীরে বেশ কয়েকবার অস্ত্রোপচার করা হয়। গত দুবছরে তিনি হৃদরোগ এবং ৩ বার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও তিনি বেশকিছু জটিল রোগে আক্রান্ত।’
প্রিন্স বলেন, ‘রিজভী এর আগে কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। এবারও কারাগারে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমরা উদ্বিগ্ন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কারাগারের বাইরে বিশেষায়িত হাসপাতালে হস্তান্তর ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি আমরা। একইসঙ্গে কারাগারে তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা স্পষ্ট করতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রিন্স বলেন, ‘আমরা আইনজীবীর মাধ্যমে কারাগারে খবর নেয়ার চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত সুস্পষ্ট ধারণা পাইনি। গতকাল এবং আজ তাকে আদালতে আনার কথা ছিল কিন্তু আনা হয়নি। আমাদের ধারণা তিনি গুরুতর অসুস্থ। সে কারণে তাকে আদালতে আনা সম্ভব হয়নি।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তার স্ত্রীর মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে তার পেটে প্রচণ্ড ব্যথা। বমি হচ্ছে। অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, তার বমির সঙ্গে রক্ত বের হচ্ছে।’
কোনো অঘটন ঘটে গেলে তার জন্য এই সরকারকে দায়ী থাকতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বিএনপির এই নেতা।