বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকার অগ্রাধিকার খাতে টাকা ব্যয় করছে: প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৭:১৬

জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেখানে-সেখানে যত্রতত্র প্রকল্প নেয়াটা আমি পছন্দ করি না। প্রকল্পের ক্ষেত্রে যেটা এখনই প্রয়োজন সেটা শুধু আমরা করতে পারি। ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক মন্দার প্রেক্ষাপটে আমরা কৃচ্ছ্রতা সাধনের কথা বলেছি। অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে দিয়েছি। সে ব্যাপারে আপনাদেরকে সচেতন থাকতে হবে।’

প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার টাকা ব্যয় করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘সংকট এখনও এই পর্যায়ে পৌঁছেনি যে আমরা ইভিএম-এর খরচ যোগাতে পারব না। তবে এই মুহূর্তে খাদ্য, চিকিৎসা আর কৃষিতে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই।’

মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে সরকার প্রধান এসব কথা বলেন।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শুরু হওয়া এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অবস্থা এতো খারাপ হয়নি যে চলতে পারব না। কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের কাছে অগ্রাধিকার কি? অগ্রাধিকার হচ্ছে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখা, মানুষের চিকিৎসা সেবাটা নিশ্চিত রাখা, মানুষের কল্যাণটা দেখা। কৃষির উৎপাদন যাতে বাড়ে সেজন্য যা খরচ লাগে আমি সেটা করব। মানুষের চিকিৎসা ক্ষেত্রে যা লাগে আমি করব।’

জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেখানে-সেখানে যত্রতত্র শুধু একটা পয়সার ইসের জন্য প্রকল্প নেয়া, এটা আমি পছন্দ করি না। প্রকল্পের ক্ষেত্রে যেটা এখনই প্রয়োজন সেটাই শুধু আমরা করতে পারি। ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক মন্দার প্রেক্ষাপটে আমরা কৃচ্ছ্রতা সাধনের কথা বলেছি। আমরা আমাদের অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে দিয়েছি। সেটার ব্যাপারে আপনাদেরকে সচেতন থাকতে হবে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আজকের পেপারে দেখলাম আমাদের বিরোধী দলের একজন বলে ফেলেছেন যে ইভিএমে ৮ হাজার কোটি টাকা লাগবে; কাজেই সেটা পরিকল্পনা কমিশন থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। সেজন্যই বলছি, আর্থিক সংকট বিশ্বব্যাপী আছে; আমাদেরও আছে। কিন্তু এখন এই প্রকল্প অগ্রাধিকার নয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার। ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনে একেবারে জনমুখী শাসনব্যবস্থায় ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করে তৃণমূলে জনগণের হাতে ক্ষমতা পৌঁছে দেয়া। সেভাবেই তিনি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

‘বঙ্গবন্ধু বলতেন- এই ঘুণে ধরা সমাজ ভেঙে আমি নতুন সমাজ গড়ে তুলব। কিন্তু তাকে হত্যার পরে যে বিবর্তন আসে সেই বিবর্তনের ফলে অনেকেই দেখা যায় হঠাৎ করে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়ে যায়, আবার অনেকে নিচে পড়ে যায়। সেটা যেন আর না হয়।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব। সেভাবে আমরা একেকটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করি। কারণ একটি সুস্থ পরিকল্পনা ও সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা ছাড়া কখনো কোনো জাতির উন্নতি হওয়া সম্ভব নয়।’

জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা যারা জনপ্রশাসনে কাজ করেন, মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন, আপনাদের দায়িত্ব অনেক। এখানে একটি কথা মনে রাখতে হবে- শুধুই চাকরি করা নয়; জনসেবা দেয়ার জন্যই চাকরি। যে কারণে মন্ত্রণালয়ের নামটাও পরিবর্তন করে দিয়েছিলাম।’

মানুষের সেবায়, জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করে ডিসিদের কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জেলা ও উপজেলায় যে কাজ হচ্ছে সে কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা, মানুষের জন্য তা কতটুকু কার্যকর হচ্ছে সে বিষয়টি তদারকি করার দায়িত্ব আপনাদের।’

এ বিভাগের আরো খবর