বরিশালের বাবুগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) ওপর হামলার ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের তালতলা সংলগ্ন কালিকাপুর গ্রামে ফসলি জমিতে পানি সেচ ও নির্গমনের জন্য নালার (ড্রেন) জমি উদ্ধার করতে গিয়ে ওই হামলার শিকার হন ইউএনও নুসরাত ফাতিমা।
পুলিশ জানায়, এ সময় ইউএনওসহ আইনশৃংখলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেলসহ চকলেট বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। ইউএনওর সঙ্গে ধস্তাধস্তিও করেছেন কজন। পরে ঘটনাস্থল থেকে নয়জনকে আটক করা হয়।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, ‘উপজেলা কৃষি অফিস ও নির্বাহী কর্মকর্তার চাহিদা অনুযায়ী আমরা সেখানে যাই। ঘটনাস্থলে একটি নালার জায়গা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে একটি পরিবারের হয়ে কিছু লোক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সরকারি লোকজনের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার শরীরেও ইট-পাটকেলের আঘাত লাগে। আবার ঘটনাস্থলের পার্শবর্তী একটি বাড়ির ছাদ থেকে চকলেট বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ঘটনাস্থল থেকে দুই ভাইসহ মোট নয়জনকে আটক করা হয়। যাদের মধ্যে সাতজনই মাধবপাশা ইউনিয়নের বাসিন্দা। এদের সবাই যে পরিবারটি সরকারি কাজে বাধা দিচ্ছিল তাদের হয়ে ঘটনাস্থলে আসে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।’
বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত ফাতিমা জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নাইম হাসান ও মাইনুল ইসলামকে তিন মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বহিরাগত বাকি সাতজন শিক্ষার্থী হওয়ায় তাদের বয়স বিবেচনা করে মুচলেকা দিয়ে চেয়ারম্যান ও পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়।
পাল্টা অভিযোগ করে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম বলেন, ‘ইউনিয়ন নির্বাচনে বর্তমান ইউপি সদস্য মোসলে উদ্দিনের বিরোধিতা করায় আমার বাড়ির ওপর থেকে ফসলি জমির পানি নিষ্কাশনের নালা নির্মাণ করাচ্ছেন। আমার কেনা ও পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৪২ শতক জমির ওপরে গত ৫ বছর আগে বাড়ি তৈরি করি।’
ইউপি সদস্য মোসলে উদ্দিন জানান, ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। যা হচ্ছে এলাকাবাসীর স্বার্থে সবাই মিলেই করছে।