পাঠ্যপুস্তক নিয়ে আপনারা কেউ ইস্যু তৈরি করবেন না- শিক্ষামন্ত্রীর এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘ইস্যু তো আমরা তৈরি করছি না, বরং আপনারাই (শিক্ষামন্ত্রী) ইস্যু তৈরি করে দিয়েছেন।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে সোমবার ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এই সভার আয়োজন করে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘নতুন পাঠ্যপুস্তকে ঐহিত্যগত সংস্কৃতি, জীবনমান ও মূল্যবোধবিরোধী কার্যক্রম মেনে নেয়া যায় না।’
তিনি বলেন, ‘এই অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলতে বলতে অজ্ঞান হয়ে যায়। অথচ বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তর সালে গণতন্ত্র হরণ করে কেন বাকশাল করতে হয়েছে, জিজ্ঞাসা করলেই তাদের গায়ে আগুন ধরে যায়।
‘বর্তমান জাতীয় সংসদ একদলীয় ক্লাব অফ আওয়ামী লীগ। এ কারণে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আমাদের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য রাজপথে রক্ত দিতে হচ্ছে।
‘এই সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন কেউ ভোট দিতে যেতে চায় না। আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরে পেতে চাই।’
জনগণের উত্তাল তরঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকার ভেসে যাবে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশে চলছে এক ব্যক্তির শাসন। ক্ষমতাসীনরা কথায় কথায় বলে- গণতন্ত্র হবে আমাদের মতো করে। অথচ তাদের গণতন্ত্র হচ্ছে বহুদলীয় গণতন্ত্র থেকে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষ মৌলিক অধিকার আদায়ে কোনো ছাড় দেবে না। সে লক্ষ্যে বিএনপি ঘোষিত ১০ দফার প্রথমটি হচ্ছে এই সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে তাদের অধীনে নির্বাচন করা। জনগণের মধ্যে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে সেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করবে বিএনপি।’
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী।