লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী থেকে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত ১৬ বছর বয়সী নাহিদ হোসেন আরমান সদর উপজেলার পশ্চিম মান্দারী গ্রামের বেলাল হোসেন শিপনের ছেলে। নাহিদ মান্দারী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
নাহিদের পরিবারের অভিযোগ, জমিসংক্রান্ত বিরোধের বিষয়ে রোববার সন্ধ্যায় স্থানীয় মান্দারী ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চাইতে যায় তারা। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পর নাহিদ বাড়িতে চলে আসে কিন্তু তার বাবা-মা লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য ওই চেয়ারম্যানের কাছেই ছিল। রাত ১২টার পর যখন নাহিদের বাবা-মা বাড়িতে আসে তখন নাহিদের মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলতে দেখতে পায়। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ নাহিদের মরদেহ চন্দ্রগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়।
নাহিদের বাবা বেলাল হোসেন জানান, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নাহিদের চাচা বাচ্চু মিয়া তাকে হত্যা করে তার মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
বাচ্চু মিয়া জমি সংক্রান্ত বিরোধের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘নাহিদ আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু আমাদের ফাঁসানোর জন্য বিষয়টিকে হত্যা বলে প্রচার করছে তার পরিবার। ঘটনা সর্ম্পকে কোনো কিছুই জানা নেই।’
মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৌরভ হোসেন রুবেল পাটওয়ারী বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় নাহিদের পরিবার চাচা বাচ্চু মিয়ার বিরুদ্ধে গ্রাম আদালতে বিচার দেন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য অনুরোধ করি। রাতে শুনি নাহিদ মারা গেছে। এর বেশি কিছু আমার জানা নেই।’
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীর মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে হত্যা না আত্মহত্যা সেটা এখন বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।