বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী বেসরকারি নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাদিয়া সুলতানার মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর কাওলা মোড়ে অবরোধ শুরু করে দেড়টার দিকে নাদিয়ার নামে বাস স্টপেজসহ চার দাবি জানিয়ে সড়ক ছাড়েন তারা। শিক্ষার্থীরা রাস্তা ছাড়ার পর বিমানবন্দ সড়কে আবারও যানচলাচল শুরু হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী আশরাফুল বলেন, ‘আমাদের চার দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আমরা পুলিশকে বলেছি ২৯ জানুয়ারির মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ না হলে আমরা আবারও রাস্তা নামব।
‘তবে আরও একটি কথা, আমরা পুলিশকে জানিয়েছি যদি আজ থেকেও রাস্তায় ভিক্টির ক্লাসিকের কোনো বাস চলাচল করে তাহলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় নামব।’
শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো.মোর্শেদ আলম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের একটি দাবি ছিল বাস চালক ও হেলপার গ্রেপ্তার করা। তাদের আজ সকালেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
‘শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়েছেন, ভিক্টর ক্লাসিক বাসের রুট পারমিট বাতিল ও এই পরিবহনের বাস যেন রাস্তা না চলে। ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের বাস যেন রাস্তায় না চলে সে বিষয়ে আমরা আজ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। এছাড়া রুট পারমিট বাতিলের বিষয়টি একটু সময় লাগবে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আরও দাবি জানিয়েছেন, নাদিয়ার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও কাওলা এলাকায় নাদিয়ার নামে একটি বাস স্টপেজ করা। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলব।
‘এছাড়া ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলব। আর স্টপেজ নির্মাণের বিষয়টি সিটি করপোরেশনের দেখবে।’
এর আগে রোববার এক বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে বই কিনতে উত্তরার বাসা থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় যাচ্ছিলেন ১৯ বছর বয়সী নাদিয়া। কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় ওই মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয় ভিক্টর ক্ল্যাসিক পরিবহনের একটি বাস।
এতে নাায়িয়া ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন তার বন্দু মোটরসাইকেলচালক মেহেদি। নাদিয়া নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে।